মিজানুর রহমান, মণিরামপুর
মণিরামপুরে পিতা সবুর সরদার (৫০) কে ধারালো করাত দিয়ে কেটে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় পুত্র হাবিবুর রহমান মিন্টুর বিরুদ্ধে ঘটনার চার দিন পর গত বৃহস্পতিবার ১৫ জুন রাতে থানায় মামলা হয়েছে। যার মামলা নং-১৩। মামলার বাদী হয়েছেন হামলাকারী পুত্র মিন্টুর মা ফরিদা বেগম।
তবে, পিতার উপর লোমহর্ষক এমন ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামী মিন্টুকে পুলিশ এখনও পর্যন্ত আটক করতে পারেনি। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, পিতার উপর হামলাকারী মিন্টুকে আটকের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেলে উপজেলার ব্রক্ষ্মপুর গ্রামের কাঠ শ্রমিক সবুর সরদারের পুত্র মিন্টু ঘরের দরজা বন্ধ করে তার স্ত্রী দুই সন্তানের মা আসমাকে বেধড়ক পিটাতে থাকে। বৌমাকে পেটানোর প্রতিবাদ করেন সবুর সরদার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিন্টু ধারালো হাত করাত দিয়ে তার পিতার বুকের উপর দাঁড়িয়ে হাত ও পা কাটতে থাকলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর ঘটনা বেগতিক দেখে মিন্টু বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় সবুর সরদারকে হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু তার হাত ও পায়ের কয়েকটি শিরা কেটে যাওয়াসহ হাঁড় পর্যন্ত ক্ষত হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অনত্রে নেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে তাকে মণিরামপুর পৌর শহরের রোকেয়া কিনিকে হাঁড় বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ভর্তি করা হয়। তার হাত ও পায়ে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে চিকিৎসা চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।