বিশেষ প্রতিনিধি
টাকা পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করায় প্রতিবেশী চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা সাদেক বিশ্বাস (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে গালিগালাজ করলে প্রতিবাদ করায় মারপিট পূর্বক নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচাতে এসে স্ত্রী ভাই, ভাবি ও মেয়ে আহত হয়েছে। ঘটনাটি যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের পুর্ব পান্থাপাড়া গ্রামে।
আসামীরা হচ্ছে, যশোর সদর উপজেলার ভগবতীপুর গ্রামের মজিদ ওরফে খুনে মজিদের ছেলে লাভলু, একই গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে আসাদ বিশ্বাস, আবু বক্কার সিদ্দিকীর ছেলে আলামিন ও আলাউদ্দীনসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন।
সদর উপজেলার পূর্ব পান্থাপাড়া গ্রামের মৃত জয়নাল বিশ্বাসের ছেলে সাদেক বিশ্বাস বৃহস্পতিবার ১৭ জুন বিকেলে কোতয়ালি মডেল থানায় উক্ত আসামীদের নাম উল্লেখসহ তাদের অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় তিনি বলেন, গত ৫ জুন দিবাগত গভীর রাতে পৌনে ২ টায় উক্ত আসামীরা টাকা পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে সাদেক বিশ্বাসকে এলোপাতাড়ী মারপিট করে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীরা কোন প্রতিকার না করায় তিনি কোতয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ করেন।
থানায় অভিযোগ করার খবর পেয়ে আসামীরা গত ১৪ জুন সকালে বাদির বাড়ির উঠানে হাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে গালিগালাজ শুরু করে। সাদেক বিশ্বাস গালিগালাজের প্রতিবাদ করে। এতে লাভলু এর হুকুমে তার সহযোগী আসামীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে সাদেক বিশ্বাসকে জখম করে।
এসময় সাদেক বিশ্বাসের পকেটে থাকা ইজিবাইকের ব্যাটারী ক্রয় করার নগদ ৫২ হাজার টাকা জোরপূর্বক কেড়ে নেয়। সন্ত্রাসীদের হামলায় সাদেক বিশ্বাস ডাক চিৎকার দিলে তার ভাই আব্দুল কাদের (৫৯) তার স্ত্রী আলেয়া বেগম (৫৫) , সাদেক বিশ্বাসের স্ত্রী রাশিদা (৪২) ও মেয়ে খাদিজা খাতুন (২০) ঠেকাতে এলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে মারপিট করে।
সাদেক বিশ্বাসসহ তার পরিবারের সকলের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার সময় সাদেক বিশ্বাসের পরিবারকে প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন সাদেক বিশ্বাসসহ তার পরিবারের সদস্যদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।