এস এম মুসতাইন, বসুন্দিয়া
বাঘারপাড়া উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলে (বসুন্দিয়ার পাশে) এক সপ্তাহের ব্যবধানে কয়েকটি চুরি ছিনতাইয়ের মত ঘটনা ঘটেছে বাড়ছে অবৈধ জিনিসের রমরমা ব্যাবসা প্রশাসনের নজর না থাকায় আইন শৃঙ্খলার অবনতি। উপজেলার জামদিয়া ও বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে এক সপ্তাহের ব্যবধানে একটি সাইকেল, একটি গরু চুরি সহ একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
গত ৮ জুন বসুন্দিয়ার আলাদীপুর বাজার থেকে দিনে দুপুরে বাইসাইকেল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে এক যুবক, নড়াইল জেলার চুড়ুলিয়া গ্রামের মৃত মকলেছ মোল্যার ছেলে জামাল উদ্দীন (৩৫), গত ১৫ জুন মধ্য রাতে বারভাগ গ্রামের ওহাব সরদারের গোয়াল ঘর থেকে একটি দেশীয় গাভী চুরি করে নিয়ে যায়। পর দিন নড়াইলের সেখহাটি গ্রামের শেখ পাড়ার লোকজন সন্দেহ জনক ভাবে চোর সহ গরু আটক করে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে হস্তান্তর করেন।
গত ১৫ জুন রাত ১২ টার দিকে আলাদীপুর গ্রামের মৃত জীবন মৃধার মেয়ে সূর্য বানুর ঘরে ঢুকে আচমকা কিল ঘুশি মেরে আহত করে নগদ অর্থ সহ স্বর্ন অলংকার নিয়ে পালিয়ে যায় একদল ছিনতাইকারীরা। গত ১৬ জুন রাতে জামদিয়া ইউনিয়নের এগারোখানের ঘোড়ানাছ গ্রামের এক পরিবারের তিনজনকে অজ্ঞান করে স্বর্নের কানের দুল গলার চেইন দুটি মোবাইল অর্থ সহ একটি বাইসাইকেল ভন্ড সাধু বাবা সেজে নিয়ে পালিয়ে যায়। আবার এলকায় সালিশ বিচারের নামে চাঁদাবাজিরও কমতি নেই। এ সমস্ত বিষয়ের উপর থানায় অভিযোগ ও মামলাও হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশ।
আইন শৃঙ্খলার অবনতির কারণ হিসেবে সাধারণ মানুষের ধারণা এলাকায় বেড়ে চলেছে উইপোকা’র মত নেশা জাতীয় দ্রব্য। উঠতি বয়সের ছোট ছোট বাচ্চারাও মাদকে আসক্ত। সেই সাথে নতুন নতুন কৌশলে বিক্রি করছে বিক্রেতারা। এসমস্ত অবৈধ কারবারিরা সামাজিক রাজনৈতিক ও প্রশাসনের সাথে আঁতাত রেখে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি। অন্য দিকে জুয়া খেলা হয়েছে বড় ব্যাধি। প্রতিনিয়ত এদের দৌরাত্মে একাধিক স্থানে আসর জমিয়ে দুর দুরান্তের জুয়া খোরদের নিয়ে লাখ লাখ টাকার টাকার অবৈধ জুয়ার আসরে মসগুল।
এসমস্ত বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন অবগত থাকলেও তাদের সাথে আতাত ও চুক্তিবদ্ধ। যার কারনে এরা পার পেয়ে সমাজের সমাজপতির তালিকায় প্রথম স্থানে। সচেতন সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগীদের ধারনা এ সব বিষয় বন্ধ না করলে দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে চুরি ছিনতাই আরো বাড়ার আশংকা। এলাকার প্রতি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের জোর দৃষ্টি সহ মাদক কারবারি ও জুয়া খোরদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন সূধী সমাজের সাধারণ মানুষ ও ভুক্তভোগী পরিবার ।