বেনাপোল প্রতিনিধি
যশোরের ভারত ঘেষা সীমান্ত শহর বন্দর নগরী বেনাপোলে লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। ১৬ জুন রাত ১২.০১ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত আগামি ২৩ জুন পর্যন্ত লকডাউন চলবে বলে যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি জারী করা হয়েছে। তবে মুদি দোকান, ওষুধ, খাবার হোটেল এই লাকডাউনের আওতায় থাকবে না।
সম্প্রতি করোনা মহামারি সংকট বেড়ে যাওয়ায় জেলা প্রশাসন এ উদ্যেগ গ্রহন করেন। তবে সীমান্ত এলাকায় সরকারী ঘোষনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করছে না স্থানীয় জনগন। সেই সাথে এই শহরে পুলিশ, বিজিবির চোখ ফাকি দিয়ে চলাচল করছে ভারতীয় আমদানীকৃত পণ্যবাহি ট্রাক চালক ও হেলপাররা। এছাড়া রফতানি বাহি পণ্য নিয়ে যে সব বাংলাদেশী চালকরা ভারতে প্রবেশ করছে তারা ফিরে এসে সাধারন জনগনের সাথে মিশে যাচ্ছে বলে একাধিক অভিয্গো উঠেছে।
যশোর জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে বিশেষ জরুরী সেবা যেমন এম্বুলেন্স, জরুরী পণ্য বাহি ট্রাক ও জরুরী সেবা প্রদানকারী পরিবহন এ লকডাউনের আওতায় আসবে না।এছাড়া হাইওয়ে রোডে আন্তজেলা গন পরিবহন সরকার কর্তৃক আরোপিত চলমান স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনপুর্বক মেনে চলাচল করতে পারবে। তবে আন্তজেলা বাস আভ্যান্তরিন যাত্রী বহন করতে পারবে না। কাচামাল, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ( মুদি খানা) সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ওষুধ এর দোকান এর উপর কোন বিধি নিশেধ নেই।
আইনশৃঙ্খলা ও জরুরী পরিসেবা যেমন কৃষি পণ্য ও যন্ত্রাংশ, খাদ্য শস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন ত্রান বিতারন পরিবহন, জরুরী ওষধ বিতরন পরিবহন, স্বাস্থ্য সেবা পরিবহন, জরুরী বিদ্যুৎ, পানি গ্যাস, জ্বালানী, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন কার্যক্রম, স্থল বন্দরের কার্যক্রম, ইন্টারনেট ব্যবস্থা, সরকারী বেসরকারী গনমাধ্যমে সমুহ, ডাক সেবা সহ অন্যান্য সরকারী জরুরী কাজের ব্যবাহৃত পরিবহন এ লকডাউনের আওতাবর্হিভুত থাকবে।
এদিকে বেনাপোল থেকে যশোরমুখী লোকাল বাসগুলি যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। বাসগুলির কাউন্টার বন্ধ রেখে পাশে বসে টিকিট কেটে সকালের দিকে যাত্রী নিয়ে বাস বেনাপোল থেকে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।
স্থানীয় বেনাপোল বাজারের সচেতন ব্যবসায়ি আলমীর হোসেন বলেন, করোনা পজিটিভ রোগির সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। অনেকেই ইতিমধ্যে শ্বাস কষ্ট জনিত কারনে মারাও গেছে। এখানে বার বার সরকারী লোক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে করোনা প্রতিরোধ করতে। তবে আসল সিদ্ধান্ত থেকে এরা বাইরে রয়েছে। এখানে আগে বন্ধ করতে হবে আমদানি রফতানি বানিজ্য। প্রতিদিন দুই দেশের সহ¯্রাধিক ট্রাক চালক উভয় দেশে স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করে চলাফেরা করছে।