আশাশুনিতে আরও ৪ জনের করোনা শনাক্ত

0
139

আশাশুনি প্রতিনিধি

করোনা ভাইরাসের ২য় ঢেউয়ে এ পর্যন্ত ১০৬ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। ১৪ জুন নতুন করে আরও ৪ জনের পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। দুর্ভাগ্য জনক হলেও সত্য একদিন পর অর্থ্যাৎ ১৫ জুন এ ৪ জুন রোগিকে জানানো হয় শনাক্তের খবর। একইভাবে প্রতিদিনের তথ্য আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একদিন পরে জানানো হচ্ছে রোগীদের। এছাড়াও অধিকাংশ রোগির বাড়ি লকডাউন ঘোষণা, সরকারি বিধিনিষেধ ও মনিটরিং করার খুবই জরুরী পদক্ষেপও গ্রহণ করা হচ্ছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাগেছে, সোমবার (১৪ জুন) উপজেলার ৪ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। তারা হলেন, শোভনালী ইউনিয়নের বৈকরঝুটি গ্রামের রোজিনা, একই গ্রামের সালাহ উদ্দিন ও শোভনালী গ্রামের জ্যোতি এবং বুধহাটা ইউনিয়নের কুঁন্দুড়িয়া গ্রামের ফুলকলি সরকার। এনিয়ে আশাশুনি উপজেলায় ১৪৬ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। যার মধ্যে ৪১ জন গত বছরের এবং ১০৫ জন চলতি ২য় ঢেউয়ে সংক্রমিত হয়েছে। আশাশুনি উপজেলায় ১৩০ জন সংক্রমিতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী সংক্রমিত হয়েছে শোভনালী ইউনিয়নে এবং পরবর্তীতে আছে বুধহাটা ইউনিয়ন।

শোভনালী ইউনিয়নে ৩৭ জন, বুধহাটা ইউনিয়নে ২৭ জন। এছাড়া কুল্যা ইউনিয়নে ৮ জন, দরগাহপুর ইউনিয়নে ২ জন, বড়দল ইউনিয়নে ৪ জন, আশাশুনি সদরে ১৫ জন, শ্রীউলা ইউনিয়নে ৪ জন, খাজরা ইউনিয়নে ২ জন, আনুলিয়া ইউনিয়নে ১ জন, প্রতাপনগর ইউনিয়নে ২ জন ও কাদাকাটি ইউনিয়নে ৪ জন। উপজেলার বাশারত হোসেন (৫৫), আঃ আলিম (৬০), সহকারী শিক্ষক আব্দুল মজিদ করোনা পজিটিভ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন।

এছাড়া উজ্জল চৌকিদারের মা পার্বতী রানী রাহা (৬০), বাক্কার (৪৫), আনোয়ার খাতুন করোনা উপসর্গ নিয়ে ইন্তেকাল করেন।

এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুদেষ্ণা সরকার জানান, সাতক্ষীরা থেকে হাসপাতালের মেইলে বিকালে রিপোর্ট পাঠানোর আগেই আমাদের পরিসংখ্যান শাখা বন্ধ হয়ে যায়। সেকারণে পরদিন সকালে পরিসংখ্যানবিদ আসার পরেই আমরা রিপোর্ট হাতে পাই। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে অভহিত করা হয়ে থাকে।

তিনি আরও বলেন, লকডাউন করার দায়িত্ব প্রশাসনের, আমাদের দায়িত্ব স্বাস্থ্য সেবা প্রদান। আমি ইউএনও স্যারের সাথে এনিয়ে কথা বলেছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন খাঁন বলেন, লকডাউসহ রোগিদের সার্বিক দিক মনিটরিং করা খুবই প্রয়োজন। আমরা ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কার্যক্রম নিতে বলে এসেছি। অনেক স্থানে সে দায়িত্ব যথাযথ পালিত হচ্ছেনা আমরা খবর পাচ্ছি। সাংবাদিকদের থেকে তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে আমি এসিল্যান্ডকে পাঠিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, অনেক রোগির অনীহা ও গাফিলতি হতাশা জনক। এব্যাপারে আমি ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারগণকে চিঠি ও ফোনে কথা বলেছি। এছাড়াও সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে মনিটরিং করার দায়িত্ব দিয়েছি। আমিও তদারকি করবো। পুলিশকেও যথাযথ পদক্ষেপ নিতে কথা বলবো। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আইন কারো জন্য ভিন্ন হবেনা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here