আ. সবুর আল আমীন, কপিলমুনি
পাইকগাছায় লতায় সরকারী খালে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানিতে এলাকা প্লাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। বৃষ্টির পানি আটকে ও জোয়ারের পানি তুলে কেয়ারের রাস্তাসহ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ক্ষয়-ক্ষতি সহ দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ। উপজেলার লতা ইউনিয়নে হাড়িয়া শংকরদানা স্লুয়েজ গেটের বাটুলতলা সরকারী খাল।
সারা বছর ৫ফুট বেশি পানি থাকে। এ সরকারী খালে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে পংকোজ বিশ্বাস ১৬, বাবুলাল বিশ্বাস ১০, দীপংকর বিশ্বাস ৪, বরুণ বিশ্বাস ৩, গোবিন্দ সরকার ৩ ও উজ্বল ৩ বিঘা বাঁধ দিয়ে চিংড়ি চাষ করে আসছে বলে স্থানীয়রা জানায়। এ খালের পাশ দিয়ে অবস্থিত কেয়ারের রাস্তা। ইটের সলিংএ পাকা করা হলেও প্রায় নষ্ট।
গত কয়েকদিনের বৃষ্টির পানির সাথে জোয়ারের পানি তুলে পরিকল্পিত ভাবে এলাকা প্লাবিত করার অভিযোগ উঠেছে বাবুলালসহ অন্যদের বিরুদ্ধে। পানিতে তলিয়ে গেছে কেয়ারের পাকা রাস্তা, পাশ্ববর্তী ছোট ছোট চিংড়ী ও মাছের ঘের। রাস্তায় সাধারন মানুষের চলাচলে মারাত্মক অসুবিধা হচ্ছে। কাঁচা ও আধা-পাকা ঘরবাড়ী ধ্বসে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
স্থানীয় গৃহবধূ বিথিকা রাণী জানান, বাবুলাল জোয়ারের পানি তুলে আমাদের ছোট চিংড়ী ঘের তলিয়ে দিয়ে মাছগুলো বের করে নিয়েছে। এরকম আরও অনেকের পুকুর ছোট ছোট ঘেরের ক্ষতি হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায়না হামলা ও মামলার ভয়ে।
এমনিভাবে একজন চিংড়ী ব্যাবসায়ী ও মাছ ধরে বাড়ী ফেরার পথে কয়েকজন ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করে বাবুলালদের এ খামখেয়ালিপনার অভিযোগ করে। ইটের কেয়ারের রাস্তায় প্রায় হাটু পানিতে দীর্ঘ দিন ধরে লতা ইউনিয়নের হাড়িয়া, সচিয়ারবন্দ, তেতুলতলা, আধার মানিক ও শংকরদানার শত শত মানুষ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। রাস্তায় হাটু পানি থাকায় সাধারণ মানুষ খুব দুর্ভোগে পড়েছে।
বাবুলাল বিশ্বাস জানান, তিনি হারিতে ডিড নিয়ে ৪/৫ বিঘা জমিতে চিংড়ী চাষ করছেন। এমনিভাবে অন্যারাও ডিড নিয়ে চিংড়ী চাষ করছেন।