বিশেষ প্রতিনিধি
গতানুগতিক ধারার বাইরের মানুষ শেখ মুহাম্মদ আব্দুর রহমানের দ্বাদশ মৃত্যুবার্ষিকী। যশোরের শিল্প ও বাণিজ্য নগরী নওয়াপাড়ার অধিবাসী এই মানুষটি ২০০৯ এর ১১ জুন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
তার পিতামহ হযরত মৌলভী শেখ মুহাম্মদ আবুল কাসিম (রহ) ছিলেন একজন প্রখ্যাত বুযুর্গ। পিতা মাওলানা আব্দুল আজিজও(রহ) ছিলেন একজন কামিল ব্যক্তি।তার ছোট ছেলে সাইফুর রহমান সাইফ দ্যা নিউ এইজ’র যশোর প্রতিনিধি।
শেখ মুহাম্মদ আব্দুর রহমান পেশায় ছিলেন স্বাস্থ্যপরিদর্শক।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনে কাজ করেছেন অনেক দিন। অবসর নেয়ার পর একটি ব্যক্তি মালিকানার শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে ছিলেন কিছুদিন। ব্যক্তি হিসেবে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সৎ। নিজ কাজে কখনো সরকারি মোটরসাইকেল ব্যবহার করেননি।বিনা টিকেটে ট্রেনে চড়েননি।
অত্যন্ত সাদামাটা এই ব্যক্তির হাত দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অনেক শিক্ষা-ধর্মীয়-সামাজিক প্রতিষ্ঠান। এর ভেতর নওয়াপাড়া হিজবুল্লাহ দাখিল মাদ্রাসা অন্যতম। নওয়াপাড়া তেঁতুলতলা জামে মসজিদ ও রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠায় তার হাতের স্পর্শ আছে। তার প্রায় একক প্রচেষ্টায় সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির অভয়নগর উপজেলা শাখা আত্মপ্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠানটি অবসরে যাওয়া বয়স্ক মানুষদের পেনশনসহ নানাবিধ কাজে উপকার দেয়। অথচ ২০০৯ এর ১১ জুন তার মৃত্যুর সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানটিরও মৃত্যু হয়।
জীবনের শেষ সময়ে এসে তিনি কয়েকজন নিরক্ষর ব্যক্তিকে হাতেকলমে বাংলা ও কুরআন শিক্ষা দেন। এছাড়া মানুষকে হালাল-হারামের পার্থক্য বুঝিয়ে তাদেরকে সৎভাবে চলার পরামর্শের মাধ্যমে সমাজ সংস্কারের চেষ্টা করেন।