বিশেষ প্রতিনিধি
যশোর অভয়নগর উপজেলার এক ভাড়াটিয়ার স্ত্রীকে জোর করে ধর্ষণের অভিযোগে বিটু আহম্মেদ নামে এক লম্পটকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ১০ জুন ভোর রাত ৪টার দিকে উপজেলার মশরহাটি গ্রামে বিটুর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। আটক বিটু আহম্মেদ ওই গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী অভয়নগর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন।
বাদী মামলায় উল্লেখ করেছেন, তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ের বিয়ে হয়েছে। আর ছেলেটি তার নানা বাড়ি থাকে। স্বামী নিয়ে নারী বিটুর বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবার করেন। বিটুর বাড়ি ভাড়া নেয়ার পর থেকেই ভাড়াটিয়া ওই নারীকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গতকাল ১০ জুন রাতে ওই নারীর স্বামী বাড়িতে না থাকা সুযোগে ভোর ৪টার দিকে বিটু ঘরের সামনে গিয়ে তাকে ডাক দেয়। বাড়ির মালিকের ডাক শুনে ওই নারী সরল বিশ্বাসে ঘরের দরজা খুলে দেন। এরপর বিটু ঘরে ঢুকেই তাকে চাপট দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
এরপরে ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানানো হলে ওই নারীকে চাপট দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ভয় দেখানো হয়। ধর্ষণ শেষে বিটু চলে যাওয়ার সাথে সাথেই ওই নারী জাতীয় সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। এরপর থানা পুলিশ সেখান থেকে বিটুকে আটক করে। এদিনই বিটুর বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ওই নারী। পুলিশ আসামি বিটুকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
উল্লেখ্য বিটু নিজেকে একটি মানবাধিকার সংগঠনের যশোর জেলার সহসভাপতি পরিচয় দিয়ে থাকেন। আর তার পাশাপাশি টাকার বিনিময়ে এলাকার হকার, কৃষক, দিন মজুর ও ক্ষেত মজুরসহ বিভিন্ন লোকদের নামে ওই সংগঠনের পরিচয়পত্র করে দেন।
এছাড়া কয়েক বছর আগে বিটুর নেতৃত্বে বসুন্দিয়া ক্যাম্পের পুলিশদের মারপিটের অভিযোগ রয়েছে।
এই ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খাঁন মাসুদ রানা বলেছেন, জাতীয় সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোনের মাধ্যমে খবর বাড়ির ভাড়াটিয়াকে ধর্ষণের অভিযোগে বিটু আহম্মেদকে আটকের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।