সহিদুল ইসলাম, মধুখালী
দাহমাশি জুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর নিকট পাওনা টাকা আদায়ের দাবিতে ভূক্তভোগী পাট ব্যবসায়ীরা এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী কোহিনুর ফিলিং স্টেশনের হাইওয়ে রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পাট ব্যবসায়ী আমিনুর রহমান।
তিনি উল্লেখ করেন আমাদের ১৩ জন পাট ব্যবসায়ীর মোট ৭ কোটি ১১ লক্ষ ৯০ হাজার ৯ শত ৫৯ টাকা মিলের নিকট পাওনা আছে। দাহমাশি জুট ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ উৎপাদন শুরু কালিন সময় থেকে পাট ব্যবসা করে আসছি। পাট ক্রয় উদ্বোধন সময় থেকে জানি এই মিলের চেয়ারম্যান জনাব, নোমান চৌধুরী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মৃধা মনিরুজ্জামান মনির উদ্বোধনের দিন ছাড়া আমাদের সাথে নোমান চৌধুরী সাহেব এর সাথে দেখা বা কথা হয়নি। মিলের পাট দেওয়া বা বিল নেওয়া সব কিছুই ব্যবস্থাপনা পরিচালক মৃধা মনিরুজ্জামান মনিরের সাথে করেছি।
২৫ শে নভেম্বর ২০২০ইং তারিখের পূর্বে আমাদের ব্যবসায় কোন প্রকার সমস্যা হয়নি এবং আমরা ব্যবসা করে আনন্দিত ছিলাম ২৫ শে নভেম্বর ২০২০ইং তারিখে হঠাৎ করেই চেয়ারম্যান নোমান চৌধুরী সাহেব ও তার ছেলে সালমান রহমান চৌধুরী মিলের দায়িত্ব নেন এবং আমাদের জানান যে, এখন থেকে মিল আমি চালাব আপনারা মিলে পাট দিন। আমরা এটা স্বাভাবিক বলে ধরে নিই। আমরা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মৃধা মনিরুজ্জামান মনির সাহেবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনিও একই কথা বলেন। এর পরে আমরা ১ট বা ২টা বিল পাই। তার পরে আর কোন পাটের বিল দেন নাই। নোমান চৌথুরী সাহেব মিলের পাট ক্রয় কর্মকর্তার দিয়ে সরাসরি পাট ক্রয় করেন নির্দিষ্ট কয়েক জন ব্যপারির মাধ্যমে। আমরা বার বার যোগাযোগ করে টাকা পাইনি এমনকি আমাদের মিলে প্রবেশ করতে দেয় নাই।
১লা জানুয়ারী ২০২১ইং তারিখে নোমান চৌধুরী সাহেব আমাদের নিয়ে বলেন যে, এখন থেকে মিলের দায়িত্ব আমি নিয়েছি।অতএব, আপনাদের টাকা আমি ৩ মাসের মধ্যে পরিশোধ করব। আপনারা আমার সাথে ব্যবসা করেন কিন্তু আমাদের কাউকে কিছু টাকা দিয়ে নিজের জুট ম্যানেজার দিয়ে পাট ক্রয় করে মিল চালাতে থাকেন নিয়মিত প্রেমেন্ট না দিয়ে আজ অবধি আমরা কোন টাকা পাইনি বিভিন্ন জায়গায় আমরা ফরিদপুর মধুখালী থানা পুলিশ নিকট বিষয়টি অবহিত করেছি উনি এমনকি আমাদের পাওনা টাকা চাইতে গেলে মিলে প্রবেশ করতে দেয়না। বিভিন্ন সময় তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করছে।
দুঃখ জনক ঘটনা হলো ০৮/০৬/২০২১ইং তারিখে সমকাল ও কালেরকন্ঠ পত্রিকা সহ কিছু পত্রিকায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান মনির সম্পর্কে কুরুচি পন্য মিথ্য ও বানোয়াট তথ্য প্রকাশ করেছেন। মৃধা মনিরুজ্জামান মনির এই এলাকার সন্তান তার শিশুকাল বেড়ে ওঠা ও কর্মজীবন সব আমরা জানি প্রায় ১৮ বছর ধরে মিল পরিচালনার অভিজ্ঞতায় ১ম মিল প্রাইড জুট মিলস্ লিঃ, গোল্ডেন জুট মিলস্ লিঃ এখন পর্যন্ত চালু আছে। আমরা এখনও পর্যন্ত তার সম্পর্কে কোন মন্তব্য শুনিনি যে, কেউ তার কাছে টাকা পাবে। আমরা পাট ব্যবসায়ীরা এর তীব্র নিন্দা জানাছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দাহমাশি ইন্ডাঃ লিঃ এর ব্যবস্থপনা পরিচালক মনিরুজ্জামারে ভাই বদিউজ্জামান মৃধা বাবলু, আড়পাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মোল্যা, বাগাট ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান খাঁন, শিক্ষক নেতা হাবিবুর রহমান, রোকনুজ্জামান মৃধা, আড়পাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম মন্ডল।
সম্প্রতি মিলের পরিচালক মনিরুজ্জামান মনির প্রসংঙ্গে এক সংবাদে তার বাবা সাবেক প্রধান শিক্ষক মরহুম হালিম মৃধা কে জড়িয়ে সে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখ জনক উল্লেখ করে শিক্ষক নেতা রোকনুজ্জামান মৃধা তীব্র ক্ষোভ নিন্দা জানিয়েছে।