সহিদুল ইসলাম, মধুখালী
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের সালামতপুর খেওয়াঘাট বর্তমান বন্ধ হওয়ায় ঘাটকুলে চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে মাঝিদের ও গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে বুধবার এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায় এই ঘাট একটি ব্যস্ততম ঘাট। বিট্রিশ সরকার থেকে কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদ মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে। বিট্রিশ সরকার থেকে ধীরেন্দ্রনাথ সরকার এন্ড গং ঘাট পরিচালনা করে। ঘাট বন্ধের ব্যাপারে ধীরেন্দ্রনাথ সরকারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের ঘাট প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে বন্ধ। মানুষের পারাপারে চরম ভোগান্তি।
এ বছর আমাদের ঘাট মাগুরা জেলার মহাম্মদপুর উপজেলার রায়পুর গ্রামের জাহাঙ্গীর, কালাম, অলেমান ও মোশারফ ঘাট পরিচালনা করবে কেন। আমাদের ঘাট থেকে নৌকা ওপার ঘাটে যাবার দিচ্ছে না, আমাদের ঘাটের চাং বার নিয়ে নস্ট করে দিচ্ছে এবং রাতের বেলা নিয়ে যাচ্ছে। জানিনা কখন ঝামেলা হয়। তারা আরও বলছে বাবুখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর সাজ্জাদ আলী আমাদের নিকট ঘাট বিক্রী করে দিয়েছে। তাই আমাদের আর একা নৌকা চালাবার দিবে না ভাগাভাগি করে চালাতে হবে। আমরা রাজী না হওয়ায় তারা বর্তমান ঘাট বন্ধ করে দিয়েছে এবং ঘাট নিয়ে রাজনীতি করছে।
তিনি আরও বলেন, এই ঘাট দিয়ে এপার ওপার মিলে অফিস আদালত, স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রী এবং আতœীয় স্বজন মিলে শতশত লোকজন পারাপার হয়। এ ব্যাপারে বাবুখালী ইউনিয়ন পরিষদের ইউ.পি. সদস্য অলেমান মোল্যার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আগে ঘাট পারাপারে বছর বছর জেও দিতাম। বর্তমান তারা টাকা দাবী করে তাও আবার বেশী যেমন একজন পারাপারে ১০/২০ টাকা দিতে হবে। আবার বর্তমান সময় সঠিক সময়ে নৌকায় মানুষ ও অন্যান্য জিনিষপত্র পারাপার করে না। অনেক দেরী করে। তাই আমাদের চেয়ারম্যান ঘাটের অর্ধেক দাবীদার হিসেবে এপারের ঘাট কালাম ও মোশারফ এর নিকট বিক্রী করে দিয়েছে। তাই যতদিন এই সমস্যা সমাধান না হবে ততদিন ঘাট বন্ধ থাকবে।
এ ব্যপারে বাবুখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর সাজ্জাদ আলীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কোন সময় ঘাট বিক্রী করিনা। কামারখালী ইউনিয়ন বিক্রী করে। আর ওপারের কামারখালী ইউনিয়নের সালামতপুর গ্রামের ধীরেন্দ্রনাথ সরকার ঘাট ক্রয় করে পরিচালনা করে। তবে ঝামেলা করার দরুন উপজেলা নিবার্হী অফিসারের অবগত করে আমার সচিবের নিকট থেকে কালাম ও মোশারফ ৩ হাজার টাকার রশিদ করে ঘাটের ইজারা নেয়। আশা করা যায় এদের সাথে কথা বললে ঝামেলা থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, ঘাট ওপারের কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদ এবং ওপারের মাঝিরা নিয়ন্ত্রন করবে হইাতে আমার কোন আপত্তি নাই। ঘাট বন্ধের ব্যপারে কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান বিশ^াস (বাবু) এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিট্রিশ সরকার থেকে কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদ পুরা ঘাট ভোগদখল করে আসছে। সেই হিসেবে আমার ইউনিয়নের ঘাট পুরাটাই আমার ইউনিয়নের মাঝিরা খেওয়াঘাট চালাবে এবং নিয়ম অনুযায়ী সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে।
তাই ঘাট বন্ধের ব্যপারে এবং জনগনের পারাপারের সমস্যা বিরাট আকারে ধারন ও দুই ইউনিয়নের মধ্যে যাতে কোন প্রকার ঝামেলা ও রাজনীতি না হয় এবং ঘাট যাতে দ্রুত সুষ্টভাবে চালু হয় সে দিক জোর দৃস্টি দেওয়ার জন্য ভুক্তভোগী জনগন এবং কামারখালী ইউনিয়নবাসী জেলা প্রশাসক, মধুখালী উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং সচেতন নাগরিকের নিকট দাবী জানান।