সত্যপাঠ ডেস্ক
বজ্রপাতের শব্দে চমকে ওঠা, ভয় পাওয়া স্বাভাবিক বিষয়ে। কিন্তু যদি জানা থাকে কোন সতর্কতা অবলম্বন জরুরি তাহলে ভয় কাটিয়ে ওঠা যায় সহজেই।
গত এক সপ্তাহে বজ্রপাতে কমপক্ষে ২০ জন মারা গেছে। ক্রমান্বয়ে এ সংখ্যা বাড়তে থাকায় উদ্বেগও বাড়ছে। প্রতিদিনই চারপাশ অন্ধকার করে মেঘ আর এরপরেই বজ্রসহ বৃষ্টি। আগেও কী এমন ছিল? এতই বজ্রপাত হতো রোজ?
ঝড়-বৃষ্টিতে ঘরে থাকার বিকল্প নেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ পরিস্থিতিতে সরকার ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করে।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে ভেনিজুয়েলা ও ব্রাজিলে। সেখানকার তুলনায় বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা অসচেতনতাকেই বেশি দায়ী করছেন। তারা বলছেন, কোন পরিস্থিতিতে ঘরে থাকতে হবে, সেটা সাধারণ মানুষ জানে না। জানলেও অনেকে মেনে চলে না।
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত বলেন, ‘এই সময়ে এই ধরনের আবহাওয়া খুবই স্বাভাবিক। এপ্রিলের শুরুতেই বৃষ্টি হয়। বজ্রপাতও হয় ঘন ঘন। চলে মে’র শেষ পর্যন্ত। এই সময়ে গরমও পড়ে। এই গরম মৌসুমী ফল ও কৃষির জন্য ভাল। কিন্তু এবার যেভাবে গরম পড়ছে সেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে না। ঝড়ের পর কিছুক্ষণ টানা বৃষ্টি হয়। এতদিন বৃষ্টি কম হয়েছে। এখন হয়তো বাড়বে। এ ছাড়া বাতাসের গতির পরিবর্তন হবে। এরপর মৌসুমী বায়ু আসবে।’
যা করবেন
* ফোন, কম্পিউটার এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।
* বাথটাব, রান্নাঘরের ধাতব পদার্থ থেকে দূরে থাকুন।
* বৈদ্যুতিক তারের বেড়া, ধাতব পদার্থ বা সংশ্লিষ্ট বস্তু থেকে দূরে থাকুন। কেননা, ধাতব পদার্থের মাধ্যমে বজ্রপাত অনেকদূর পর্যন্ত চলাচল করতে পারে।
* পুকুর, নদী-নালা বা হ্রদে মাছ ধরা বা নৌকা ভ্রমণ যেকোনো উপায়ে পরিহার করতে হবে।
* অনেক মানুষ একসঙ্গে থাকলে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে যেতে হবে।
যা করবেন না
* বজ্রপাতের সময় কোনো অবস্থাতেই কংক্রিটের ওপর শোবেন না বা দেয়ালের সঙ্গে হেলান দিয়ে থাকবেন না।
* উঁচু স্থান অবশ্যই এড়াতে হবে বা নদী, পুকুর, খাল–বিল ইত্যাদির আশপাশে থাকা যাবে না।
* কোনো অবস্থাতেই ভূমিতে শোবেন না বা বিচ্ছিন্ন কোনো বড় গাছের নিচে দাঁড়াবেন না।
* ইস্পাত লোহা জাতীয় জিনিস হাতে নেবেন না।