বিশেষ প্রতিনিধি
আর্থিক লেনদেন বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা শুক্রবার ৪ জুন বিকেলে সদর উপজেলার জলকর গ্রামে সালিশে বৈঠকে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায় এলোপাতাড়ী মারপিটের এক পর্যায় ছুরিকাঘাতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলায় আসামীরা হচ্ছে, যশোর সদর উপজেলার শালিয়াট গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে ইমলাখ হোসেন, ইমরান হোসেন, ইব্রাহিম হোসেন,একই গ্রামের মৃত সুলতান মন্ডলের ছেলে সুমন মন্ডল,মৃত দলিল উদ্দিন মোল্লার ছেলে আলতাফ মোল্লাসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন। পুলিশ আলতাফ মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে।
ওই গ্রামের জাহিদুর রহমান তুহিনের স্ত্রী মুক্তা আক্তার (৩০) বাদি হয়ে শুক্রবার ৪ জুন দুপুরে কোতয়ালি মডেল থানায় উল্লেখিত আসামী ও তাদের অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন আসামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, স্বামী জাহিদুর রহমান তুহিন, ইছালী মডেল কলেজ কারিগরী শাখায় চাকুরী করে এবং শহরের ঘোপ জেলরোড বেলতলায় মুদি খানার দোকানদারী করে। উক্ত আসামীদের সাথে জাহিদুর রহমান তুহিনের আর্থিক লেনদেনে বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতা রয়েছে। আসামীরা বিভিন্ন সময় তুহিনকে মারপিট ও খুন জখমের হুমকী দিয়ে আসছিল।
গত ৪ জুন শুক্রবার বিকেল সোয়া ৪ টায় জলকর গ্রামের বাদির নিজ বাড়িতে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে সালিশ বসানো হয়। সালিশ শুরু হওয়ার সাথে সাথে তুহিনের সাথে আসামীদের তর্ক বির্তক হয়। এক পর্যায় তুহিনের প্রতিক্ষিপ্ত হয়ে আলতাফ মোল্লার হুকুমে অন্যান্য আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জ তুহিনকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে। আসামীরা জাপটে ধরলে ইমলাখ ছুরিকাঘাত করে। ছুরিকাঘাতের পরপর তুহিন ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা তুহিনকে খুন করার হুমকী দিয়ে চলে যায়।
জনগণ তুহিনকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তুহিন যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মামলা হওয়ার পর পুলিশ আলতাফ মোল্লাকে গ্রেফতার করে শনিবার আদালতে সোপর্দ করে।