মধুখালী প্রতিনিধি
আসছে বর্ষাকাল। ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামের নদীর কুলের মানুষেরা এবার বর্ষার এবং গড়াই নদীর পানির বৃদ্ধির আগেই আতংক অবস্থায় জীবন যাপন করছে বলে খবর পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নদীর পানি বৃদ্ধির আগে মানুষেরা বাড়ী সড়ানোর কাজে ব্যস্ত। তাই ফুল বাড়ী নদীর কুলের মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় কামারখালী রাজধরপুর ও ফুলবাড়ীর কিছুটা আগের বাধা আছে আর এবার গন্ধখালী ভাঙ্গায় যেভাবে জিও ব্যাগ দিয়ে ডাম্পিং পেলেচিং করে নদী বাধছে তাতে দুইবাধের মাঝের ফুলবাড়ী গ্রামের কিছু বসবাসকারী পরিবারের ধারনা এবার নদীর পানি যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে মনে হয় তাদের মাথা গোজার ঠায় নদীতে তলিয়ে যাবে।
নদীর কুলে বসবাসকারী একজন বৃদ্ধা সামসুন্নাহার বলেন আমাদের সীমানা বাদ দিয়ে গন্ধখালী নদীবাধ হচ্ছে তাতে এবার নদীর পানি বৃদ্ধি ভাঙ্গনের সময় আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় যাবো।
তাছাড়া ফুলবাড়ী গ্রামের কামারখালী ইউনিয়নের ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য নুরুন্নাহার বলেন আমার ওয়ার্ডের নদীর কুলের বসবাসকারী ফুলবাড়ী রজবের বাড়ী হইতে ছরোয়ার মোল্যার বাড়ী পর্যন্ত ১০টি পরিবারের মানুষ এবার আতংকে আছে এদের চোখে ঘুম নাই। মনে হয় এবার নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে এদের বসবাসের শেষ আবাসস্থল নদীগর্ভে চলে যাবে।
এই বিষয়ে কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান বিশ্বাস (বাবু) বলেন আগামীতে ফুলবাড়ী গ্রামের এই ভাঙ্গনরোধের সমস্যা কর্তৃপক্ষের বলে সমাধান করার ব্যবস্থা করা হবে। তাই ফুলবাড়ী নদীরকুলের বসবাসকারীদের দাবী এই ভাঙ্গাটুকু ফুলবাড়ী সাবেক এবং গন্ধখালীর মত ব্যবস্থা না করার আগ পর্যন্ত নদীর পানি বৃদ্ধির আগে বাশ দিয়ে বাধ দেওয়া হোক যাতে ভাঙ্গনের কবল থেকে আপাতত রক্ষা পাওয়া যায়।