বিশেষ প্রতিনিধি
দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে নিয়োগ পেলেও গত দুই বছর ধরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) কাজ না করে নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন রোকেয়া খাতুন নামে এক অফিস সহায়ক। সদ্য সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন ‘বিশেষ’ কারণে এই দীর্ঘ সময় ধরে তার বাড়িতে প্রতি মাসে টাকা পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। তবে এতে খুশি নন রোকেয়া বেগম। তিনি তার কর্মস্থলে ফিরতে চান। দীর্ঘদিন তিনি কর্মস্থলে ফিরতে হতে না পেরে মানসিকভাবে বেশ কষ্টে আছেন।
২৯ মেশনিবার প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এমন দাবি করেছেন যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল খানের মেয়ে রোকেয়া খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি ২০১৭ সালের ২৮ জানুয়ারি মাস্টাররোলে অফিস সহায়ক হিসেবে যবিপ্রবিতে যোগদান করি। সেই থেকে এখনো পর্যন্ত আমি দৈনিক ভিত্তিতে বেতন পাচ্ছি। কিন্তু দুই বছরের বেশি সময় ধরে আমার কোন কাজ নেই, কর্মস্থল নেই।’
রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘২০১৭ সালে যবিপ্রবিতে যোগদান করে ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন স্যার আমাকে কাজের লোক হিসেবে তার ঢাকার বাসায় নিয়ে যান। সেখানে স্যারের স্ত্রী আমাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতেন। এক পর্যায়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে ২০১৮ সালের জুলাই মাসের দিকে আমাকে যশোরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। যশোরে এসে আমি মাস খানেকের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিউটি করি।
কিন্তু পরে আমাকে ইকবাল কবির জাহিদ স্যার ও কামরুল হাসান স্যার বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। আমাকে বলা হয়, তোমার কোন কাজ করা লাগবে না। বাড়িতে বসে তুমি টাকা পেয়ে যাবে। সেই থেকে আমি বাড়িতে বসে বসে প্রতিমাসে টাকা পাচ্ছি। আরিফুজ্জামান সোহাগ আমার বাড়িতে গিয়ে টাকা দিয়ে আসেন। সর্বশেষ ঈদ বোনাসসহ এপ্রিল মাসের বেতন পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু কাজ না থাকায় আমি বেশ কষ্টে আছি। একমাত্র মেয়েকে নিয়ে মৃত. বাবার ভিটায় পড়ে আছি। আমি আমার কর্মস্থল হারিয়ে এক মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে আছি। আমি আমার কর্মস্থলে ফিরে যেতে চাই। আমি আমার কাজ চাই।
সংবাদ সম্মেলনে রোকেয়া খাতুনের মা সকিনা বেগম ও মেয়ে ফারিয়া সুলতানা অ্যানি উপস্থিত ছিলেন।