সত্যপাঠ ডেস্ক
রাজশাহী জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমের গাছ আছে বাঘা উপজেলায়। এই উপজেলায় অধিক হারে আম উৎপাদনের জন্য চাষিরা পলিব্যাগের মাধ্যমে নতুন কৌশল অবলম্বন করে আম চাষ করা হচ্ছে।
নতুন এ পদ্ধতিতে আমের উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়েছে। আমে পলিব্যাগ ব্যবহার করার কারণে আমে পোকার আক্রমণ কমেছে। আম ফাটে না। আমের রঙ সুন্দর হয়। বালাইনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। এ ছাড়া আম বহুদিন রেখে খাওয়া যায়।
জানা গেছে, এই উপজেলার মাটির গুণগতমান ভালো হওয়ার কারণে আমের সুখ্যাতি দেশের পাশাপাশি বিদেশেও। সুখ্যাতির জন্য এই উপজেলার আম গত কয়েক বছর ধরে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, নরওয়ে, পর্তুগাল, ফ্রান্স ও রাশিয়াতে পাঠানো হয়। এই মৌসুমেও যে আম পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, তার মধ্যে গোপালভোগ, হিমসাগর, আম্রপালি, ল্যাংড়া ও ফজলি।
কলিগ্রামের আমচাষি আশরাফুদৌল্লা বলেন, গাছে প্রচুর পরিমাণে আম রয়েছে। বছরভিত্তিক গাছে আম ধরে। যে গাছে এ বছর আম ধরে, সেই গাছে আগামী বছর তুলনামূলক কম ধরে। সেসব গাছে বেশি আম আসায় নতুন কৌশল অবলম্বন করে আমে পলিব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে।
গত কয়েক বছর ধরে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে আমে পলিব্যাগ জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আমার মতো অনেকেই দিচ্ছেন। এই পলিব্যাগের কারণে আম ফাটা ও পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। গাছে অনেক দিন ধরে আম রাখা যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ্ সুলতান বলেন, আমে পলিব্যাগ ব্যবহারে কোনো ক্ষতি নেই। এতে আমের অনেক উপকার হয়। উপজেলায় আমবাগান রয়েছে সাড়ে আট হাজার ৩৬৮ হেক্টর জমি। বাঘা উপজেলার আম দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধতা না; দেশের বাইরে এই উপজেলার আমের চাহিদা ও দাম অন্য এলাকার চেয়ে অনেক বেশি।