বিশেষ প্রতিনিধি
যশোর শহরের রেলরোডস্থ ফুড গোডাউনের সামনে অবস্থিত যশোর মাদকাসক্তি নিরাময় ও পূনর্বাসন কেন্দ্রের মাহাফুজুর হত্যা মামলায় তিন আসামি আদালতে ন্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা সকলেই ওই প্রতিষ্ঠানের রোগী।
তারা হলেন, চৌগাছা উপজেলার বিশ্বাসপাড়া গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে রিয়াদ, মনিহার নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার আব্দুর রশিদ মিয়াজীর ছেলে রেজাউল করিম রানা ও ঝিনাইদহ জেলার কোটচাদপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের সাবদার রহমানের ছেলে শাহিনুর রহমান। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন, মাহাদী হাসান ও মামুনুর রহমান পৃথক তিন আদালতে এ তিন আসামির জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ ছাড়া অপর সাত আসামির সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আদালত সূত্র ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, ওই তিন আসামি মাহাফুজুর কে মারপিট করে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তারা জানিয়েছেন, নিহত মাহফুজুর বিভিন্ন সময়ে উচ্ছৃঙ্খলা করতেন। ওই দিন সকালে তেমনটি শুরু করেন। পরে তারা একত্রিত হয়ে বেধরক মারপিট করে। একপর্যায় সে অসুস্থ্য হয়ে পরে। পরে তার গায়ে মুখে পানি ঢালা হয়। এরপর তাকে তার বেডে রেখে আসে। পরে অসুস্থ্য হয়ে পরলে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালকসহ ১৪ জনের নামে মামলা করেছেন নিহতের পিতা মনিরুজ্জামান। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকেই গ্রেফতার করে। একই সাথে সিসি ফুটেজে মারামারি চিত্র উঠে আসে।
গ্রেফতারকৃত অন্য আসামিরা হলেন, প্রতিষ্ঠানের দুই পরিচালক যশোর শহরের বারান্দী মোল্লাপাড়া এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে মাসুদ করিম ও বারান্দীপাড়া বটতলা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশরাফুল কবির, একই এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে আরিফুজ্জামান, শহরের কাজীপাড়া মসজিদের পাশের বাসিন্দা কামরুজ্জামানের ছেলে ওয়াহিদুজ্জামান, আরবপুর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে অহিদুল ইসলাম, হুসতলা বকচর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আল শাহরিয়ার রোকন, বেনাপোল পোর্ট থানার শাখারীপোতা গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন, অভয়নগর উপজেলার বুইকারা গ্রামের আসর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম, বেজপাড়া টিবি কিনিক এলাকার এসএম জি মুক্তাদির ছেলে এসএস সাগর আজিজ, শেখহাটি হাইকোর্ট মোড় এলাকার মৃত ফজর আলীর ছেলে নুর ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার বামখালী গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ওয়াহিদুজ্জামান ওরফে সাগর।