মিজানুর রহমান, মণিরামপুর
মণিরামপুরের গোপিকান্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জিম্মি হওয়া অফিস সহকারি আব্দুল গণি ৪ ঘন্টা পর জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার হয়েছেন। এ নিয়ে ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে। অপর দিকে বুধবার সকালে বাংলাদেশ বে-সরকারি তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতির যশোর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ ঘটনার এলাকা পরিদর্শন করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সুষ্ঠবিচার দাবী করেছেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি নিতাই কুমার পাল বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে অফিস সহকারি আব্দুল গণি প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দিনকে তার গ্রামের বাড়ি গোপিকান্তপুর কারণ দর্শানো নোটিশ দিতে গেলে তাকে জিম্মি করে রাখেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে আমি মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টার দিকে মণিরামপুর থানা পুলিশের দারস্থ হয়। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দিনকে এ সময় চাপ প্রয়োগ করলে অবশেষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আব্দুল গণিকে জিম্মিদশা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।
সভাপতি নিতাই কুমার আরও বলেন, প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দিন বিভিন্ন সময় জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের ফান্ড থেকে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। সকল বিষয় নিয়ে বুধবার বিকেলে প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে মণিরামপুর থানায় একটি সাধারণ ডাইয়েরী করার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ তার বিরুদ্ধে রেজুলেশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন।
অপর দিকে গোপিকান্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারির জিম্মির ঘটনা কয়েকটি দৈনিকে প্রকাশ হলে নজরে আসে বাংলাদেশ বে-সরকারি তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ যশোর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ’র। তারা ঘটনার পরদিন বুধবার সকাল ১১টার সময় ঘটনার এলাকা পরিদর্শন করেন এবং নেতৃবৃন্দরা কর্মচারী আব্দুল গণিকে অহেতুক হয়রানি করা হয়েছে মর্মে প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দিনের সুষ্ঠবিচার দাবী করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কর্মচারি পরিষদের যশোর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম, সহসভাপতি এস এম আক্তারুজ্জামান, যগ্ম-সম্পাদক নূর ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, যশোর সদর থানা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক পঙ্কজ কুমার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দিন কর্তৃক অফিস সহকারি জিম্মি ঘটনাটি নিয়ে গোপিকান্তপুর এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
Home
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল মণিরামপুরে প্রধান শিক্ষকের জিম্মিদশা থেকে চারঘন্টা পর অফিস সহকারি উদ্ধার, কর্মচারী পরিষদের...