বেনাপোল চুরি করা সহযোগির নাম বলায় জীবননাশের হুমকি

0
197

বেনাপোল প্রতিনিধি
চুরি করার কথা শিকার করায় সহযোগি চোররা জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে আলামিন নামে এক যুবককে। বেনাপোল পোর্ট থানার দিঘিরাড় গ্রামের শরীফুলের দোকান চুরি হয় সোমবার রাতে। গভীর রাতে আলামিনকে ওই দোকানের আশে পাশে ঘুরতে দেখে এলাকার লোক জন। সকাল বেলা তালা ভেঙ্গে চুরির ঘটনা ফাঁস হওয়ায় উঠে আসে দিঘিরপাড় গ্রামের মালেক এর ছেলে আলামিনের নাম। এলাকার কমিশনার সহ গন্য মান্য ব্যাক্তিবর্গ তাকে জিজ্ঞাসাবাদে এক প্রকার শিকার করে সে ও তার সহোযোগি ফারুক হোসেন ও রাজা মিয়া ওই দোকানে চুরি করে। তবে সে বাইরে পাহারাদার হিসাবে দায়িত্ব পালন করে।
চুরির ঘটনা শিকার করায় আল আমিন এর সহযোগি ফারুক ও রাজা একদল সন্ত্রাসী দিয়ে সরাসারি হুমকি প্রদান করে জীবন নাশেরৃ। এবং তাকে কানে কানে চোরা ফারুকের ভাই বলতে বলে তুই বলবি তোকে জোর করে রাশেদ কাউন্সিলার নাম বলতে বলেছে। এরপর ফারুক ও তার মা আলামিনের বোন তাসলিমা ও এলাকার নাছিমা নামে এক নারীকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। তাসলিমা বলেন, আমার ভাই চুরি করেছে এটা সে শিকার করেছে। তবে চুরিকৃত মালামাল তার কাছে নেই। একই কথা আলামিনের পিতা আব্দুল মালেকও শিকার করে। তাসলিমা ও নাছিমা বলে আলামিন চুরির ঘটনা ফাঁস করায় তাকে মেরে ফেলার জন্য হুমকি দিচ্ছে। এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করছে।আলামিন বলে, আমি বাইরে পাহারা দিয়েছিলাম।কারন ফারুক ও রাজু আমাকে টাকা দিতে চেয়েছিল। তারা তালা ভেঙ্গে দোকানের মালামাল বস্তা ভরে নিয়ে যায়।
দোকানদার দিঘিরপাড় গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে শরিফুল বলেন তার নগদ টাকা ছিলা ৪০ হাজার এবং দোকানে মুদি অনেক মাল ছিল চোরেরা সব চুরি করে নিয়ে যায়। সে এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
এদিকে আলাআমিন এর নাম প্রকাশ হওয়ার পর ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার রাশেদ আলীর সাথে বিচার শালীশে ভবের বেড় গ্রামের আক্তার হোসেন উপস্থিত থাকায় তাকে সহযোগি ফারুক হোসনে বুধবার বাড়িতে দা দিয়ে কোপাতে যায় বলে অভিযোগ করেছে আক্তার হোসেন। এ ব্যাপারে জরুরী দায়িত্বে থাকা বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই সোহেল হোসেন ঘটনাস্থলে যেয়ে ফারুক হোসেনকে পায়নি। এসআই সোহেল বলেন, আমি মোবাইল ফোনে অভিযোগ পেয়ে ঘটনা স্থলে যেয়ে ফারুককে পায়নি। সে পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালিয়ে যায়। অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেনাপোল পৌর সভার ৫ নং ওয়ার্ড কমিশনার রাশেদ আলী বলেন, পুর্বে থেকে আলামিন চুরি করত এলাকায়; যার অনেক প্রমানও আছে। এবারও সে এবং তার পরিবার এই চুরির কথা শিকার করেছে এবং মুল চুরির কাজে নিয়োজিত ছিল ভবেরবেড় গ্রামের মৃত ইস্্রাফিল হোসেন এছোর ছেলে ফারুক ও তালশারি গ্রামের দ্বিন মোহাম্মাদ এর ছেলে রাজা মিয়া।
বেনাপোল পোর্ট থানার দায়িত্ব রত অফিসার এস আই মোরাদ হোসেন বলেন চুরির ব্যাপারে শরিফুল একটি অভিযোগ থানায় দিয়েছে। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবসস্থা নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here