বিশেষ প্রতিনিধি
শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া গোলামপট্টি বাসা নং ৭৩ এর দ্বিতীয় তলার বাড়ির মালিকের ঘরে দুঃসাহসিক চুরি সংঘঠিত হয়েছে। ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে সংঘবদ্ধ চোরেরা ঘরের ভেন্টিলেটর দিয়ে ঘরে ঢুকে নগদ টাকা ৩ ভরি ৪ আনা ওজনের স্বর্ণালংকরসহ ২লাখ ৭০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। চুরি করার সময় অন্যান্য ভাড়াটিয়া ও পুলিশের সহায়তায় আশিকুর রহমান বাপ্পি নামে এক চোরকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। সে শহরের বেজপাড়া কবরস্থান মোড় মান্নান মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া বাবু মোল্যার ছেলে। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া গোলামপট্টি বাসা নং ৭৩ এর সালাউদ্দিন নয়নের বাড়ির ভাড়াটিয়া কামাল উদ্দিন খান রনি’র স্ত্রী তাসলিমা বেগম গ্রেফতারকৃত আসামী আশিকুর রহমান বাপ্পি ও পলাতক শহরের বেজপাড়া আনসার ক্যাম্পের পিছনে ফরিদ এর বাড়ির ভাড়াটিয়া মজিবুর রহমানের ছেলে মানিকসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।
বুধবার ৫ মে সকালে মামলায় বলেন, বাদি সালাউদ্দিন নয়নের বাড়ির ভাড়াটিয়া কাম টেয়ারকেটার হিসেবে কাজ করে। বাড়ির মালিক সালাউদ্দিন নয়ন উক্ত বাড়িতে স্থায়ীভাবে থাকেনা। মাঝে মধ্যে বাড়ির মালিক নয়ন দ্বিতীয় তলায় এসে অবস্থান করে। বাকি সময় তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকে। বুধবার ৫ মে ভোর রাত সাড়ে ৪ টায় দ্বিতীয় তলা থেকে শব্দ শনতে পেয়ে ভাড়াটিয়া কাম কেয়ার টেকার তাসলিমা বেগম বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়াদের নিয়ে বাড়ির নীচে এবং দ্বিতীয়তলায় উপস্থিত হন। দ্বিতীয়তলা উপস্থিত হয়ে দেখতে পান ২য় তলার পূর্ব পাশে ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে ভিতরে কেউ প্রভেশ করেছে।
পরবর্তীতে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশকে জানানো হলে থানা থেকে পুলিশ এসে বাদি ও উপস্থিত ভাড়াটিয়া এবং আশপাশের অন্যান্য লোকদের সহযোগীতায় দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। ঘরে মধ্যে আশিকুর রহমান বাপ্পিকে দেখতে পান। পরবর্তীতে উক্ত বাড়ির মালিক সালাউদ্দিন নয়নের বাড়ির মধ্যে ঢুকে দেখা যায়, ঘরের আলমারি ড্রয়ার ভেঙ্গো নগদ ৭০ হাজার টাকা, আড়াই ভরি ওজনের ২টি স্বর্ণের চেইন, ৪ আনা ওজনের আংটি, ৮ আনা ওজনের এক জোড়া কানের দুল নাই। গ্রেফতারকৃত আশিকুর রহমান বাপ্পিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে পলাতক উক্ত আসামীর নাম প্রকশা করে বলে সে টাকা ও মালামাল নিয়ে পালিয়ে গেছে।