মিজানুর রহমান, মণিরামপুর
প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে যশোরের মণিরামপুরের কৃষাণ-কৃষাণীরা ধান সিদ্ধ-শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ ধান শুকানোর পরেই তা মাড়িয়ে তৈরী হবে পরবর্তী আমন ধান ওঠা পর্যন্ত খাওয়ার চাল। শুধু কৃষাণ-কৃষাণীরা নয়, এ কাজে ছেলে-বউসহ পরিবারের অন্যান্যরাও সহযোগিতা করছেন।
উপজেলার চন্ডীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে ধান শুকানোর উৎসবের আমেজ। আকাশে মেঘ জমেছে তাই পরিবারের ছোট থেকে বয়োবৃদ্ধ সবাই মিলে ধান উঠানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এদের কেউ সাপডা ধান নাড়া-চাড়া করার জন্য বাশের হাতল ও কাঠ দিয়ে তৈরী এক ধরনের যন্ত্র দিয়ে ধান এক জায়গায় করার পাশাপাশি কেউ কেউ ঝাঁড়– দিয়ে ধান কুড়াচ্ছেন, আবার কেউ ডালা দিয়ে ধান বস্তায় ভরছেন।
উপজেলার চন্ডিপুর এলাকার গৃহবধূ শাহিদা বেগম বলেন, ‘সিদ্ধ ধানে এট্টু বৃষ্টির পানি নাগলি চাল বানাতি কষ্ট হবেনে, এতে করে ওই চালের ভাত আর খাওয়া যাবেন না বাবা’ এজন্যি স্কুল মাঠে ধান আইনে বাড়ির সবাই মিলে বেশী রোদি ধান শুকানের কাজ করতিছি।’ এ কাজে ওই গৃহবধূর পুত্র হাবিবুর রহমান সহযোগিতা করছেন। শুধু সাহিদা বেগমের পরিবার নয়, এলাকার অধিকাংশ নারী-পুরুষ ওই স্কুল মাঠে ধান শুকাচ্ছেন। জানাযায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের মাঠ থেকে ধান কাটা প্রায় শেষ পর্যায়। পাশাপাশি ধান ঝাঁড়া-পরিষ্কার করা শেষের পথে। পরবর্তী আমন মৌসুম পর্যন্ত খাওয়ার চাল বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। তাইতো গ্রামের সিংহভাগ পরিবারে চলছে ধান সেদ্ধ-শুকানোর কাজ।