বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ্য দিবালোকে সদর উপজেলার বড় শেখহাটি গ্রামের নাজির সর্দারের ছেলে টিপু সর্দারের কাছে ২লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে হামলা চালিয়ে নগদ ১লাখ ৭০ হাজার টাকা ও গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় শ^াশুড়ী সদর উপজেলার ছোট শেখহাটি গ্রামের আবু হানিফের স্ত্রী মোছাঃ সাহিদা সুলতানা বাদি হয়ে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় ৮ সন্ত্রাসী চাঁদাবাজীর নামসহ তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
মামলায় আসামীরা হচ্ছে, যশোর সদর উপজেলার ছোট শেখহাটি গ্রামের কাশেম মোল্যার ছেলে তরিকুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, জালাল মোল্যা,জহুরুল ইসলাম,জালাল মোল্যার ছেলে জাফর, ইসলামের ছেলে রাব্বী, মোবারেকের ছেলে মাইমুন, বড় শেখহাটি গ্রামের সরোয়ারের ছেলে রিপনসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন। পুলিশ এ ঘটনায় চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী জালাল মোল্যা ও রাব্বীকে গ্রেফতার করে বুধবার আদালতে সোপর্দ করেছে।
মামলার বাদি শ^াশুড়ী মোছাঃ সাহিদা সুলতানা মামলায় বলেছেন, তার মেয়ে হুমাইয়ার স্বামী জামাই টিপু সর্দার নিজস্ব এসকোমিটার দ্বারা মাটি টানার ভাড়া খাটানোর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। উক্ত আসামীরা সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ডসহ এলাকায় চাঁদাবাজী ও মাদক ব্যবসা করে বেড়ায়। উক্ত আসামীরা বেশ কিছুদিন পূর্ব হতে জামাই টিপু সর্দারের কাছে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। জামাই চাঁদার টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় আসামীরা টিপু সর্দারের মাটি কাটার ব্যবসা বন্ধসহ জামাইকে খুন করার হুমকী দিয়ে আসছে।
গত মঙ্গলবার ৪ মে বেলা সাড়ে ১২ টায় টিপু সর্দার তার বড় শেখহাটি বাড়ির উত্তর পাশের্^ পুকুর পাড়ে অবস্থানকালে উক্ত আসামীসহ তাদের অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন সহযোগী হাতে ধরালো গাছি দা,লোহার রড. চাকু ও দেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে টিপু সর্দারের পথরোধ করে। পরে চারিদিক থেকে ঘিরে ধরে টিপু সর্দারের কাছে তাদের দাবীকৃত ২লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টিপু সর্দার চাঁদার টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় তরিকুল ইসলামের হুকুমে সকল আসামীরা টিপু সর্দারকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট শুরু করে। এসময় টিপু সর্দারের পকেটে থাকা ব্যবসায়ীক নগদ ১লাখ ৭০ হাজার টাকা ও গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। টিপু সর্দারের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা হত্যার হুমকী দ্রুত চলে যায়।
খবর পেয়ে শ^াশুড়ী ও বাড়ির লোকজন দ্রুত ছুটে যেয়ে টিপু সর্দারকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ জালাল মোল্যা ও রাব্বীকে গ্রেফতার করে।