এস.এম মুসতাইন
কয়েক বছর পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার কম ছিল, দোকানের মালামাল কাগজের তৈরি প্যাকেটের প্রচলন ঘটলেও আবারও রাস্তা-ঘাটে পলিথিনের দুষনের স্তুপে পরিনত, দোকানে-দোকানে অবৈধ নিষিদ্ধ পলিথিনে বাজার সয়লাব, এলাকার বাজার গুলোতে দেদারছে ক্ষতিকারক পলিথিন ব্যাগ বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা যারফলে সাধারন মানুষ যত্রতত্র ভাবে ফেলে নষ্ট করছে পরিবেশ।
বসুন্দিয়া ও বাঘারপাড়া উপজেলার দক্ষিন অঞ্চলের বাজার গুলোর প্রতিটি দোকানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্র সহজে বহনের জন্য ক্ষতিকারক পলিথিনের ব্যাগে তুলে দিচ্ছেন। সরকারি ভাবে পরিবেশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সপিং ব্যাগ পলিথিন বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও কাগজের ব্যাগের থেকে অধিক স্বার্চয়ে বাজারজাত সেই সাথে আইন লংঘন করে উৎপাদন করছে কারখানা গুলো। পরিবেশ অধিদপ্তরের নজরদারি না থাকায় ক্ষতিকারক নিষিদ্ধ পলিথিনের বাজার ছড়াছড়িতে পরিপূর্ণ।
তারমধ্যে যশোর সদরের বসুন্দিয়া বাজার, বসুন্দিয়া মোড় বাজার, প্রেমবাগ বাজার, মাগুরা বাজার, পদ্মবিলা বাজার, রুপদিয়া বাজার, বাঘারপাড়ার দক্ষিনে আলাদীপুর বাজার, ভিটাবল্যা বাজার, বাকড়ী বাজার, দোগাছির মোড় বাজার, শান্তির বাজার, ঘুনির ঘাট বাজার, মাহমুদপুর বাজার, ধলগার রাস্তার মোড় বাজার, ভাংগুড়া বাজার, খলসি বাজার, চাড়াভিটা বাজার গুলো ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ মুদি দোকানে পাইকারি ভাবে পলিথিন বিক্রি করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বিক্রেতার সাথে কথাবল্লে সাংবাদিকদের জানান, কয়েক বছরতো পলিথিনের ব্যাগ পাওয়া যেতো না তারপরও চুরি করে বিক্রি করতে হতো।
কারখানায় তো উৎপাদন বন্ধ নেই, এখন আবার আগের মত ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। কাগজের সপিং ব্যাগ তৈরি করতে ব্যয়বহুল তারপর ভারী পলিথিন ব্যাগ ওজনে হালকা সহজে বহন যোগ্য। কাগজের ব্যাগ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় পরিবেশ দুষিত হয় না, পলি ব্যাগ পচে না সহজে নষ্ট হয় না, অনেক ফসলী ক্ষেত খামারের ক্ষতি করে সেই সাথে পরিবেশ দুষনে পরিনত হয়, সব কিছু জেনে শুনেই বিক্রি করছে দোকানীরা।
বিষয়টি নিয়ে কয়েকজনের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, সরকারি ভাবে পরিবেশ অধিদপ্তরের নজরদারি কম। তারপর দেশে চলছে লকডাউন করোনার মহামারি, তবে বিষয়টির উপর নজর না দিলে পরিবেশ দুষনে ক্ষতির সম্মূখীন আরো দিনদিন বৃদ্ধি পাবে। পরিবেশ দুষনের হাত থেকে রক্ষা পেতে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের জোর দৃষ্টি সহ আইনগত ব্যাবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির প্রত্যাশা কামনা করছেন এলাকার সামাজিক, রাজনৈতিক, সচেতন সূধি সমাজের মানুষ।