সত্যপাঠ ডেস্ক
রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটি যেন শুষ্ক হলদে বিস্কুট। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ধান চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন কৃষক। আম, পেয়ারার পাশাপাশি এখন মাল্টা চাষে ঝুঁকছেন উদ্যোক্তারা। সে তালিকায় যোগ হয়েছে মরু অঞ্চলের ফল ত্বিন।
গোদাগাড়ী উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামের চাষি রকিবুল আলম এক বিঘা জমিতে এই ফলের চাষ করেছেন। ফল এখন পাকতে শুরু করেছে। রাজশাহীর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন সুপারশপগুলোতে বিক্রি হয় এই ফল। দাম বেশি, তাই লোকসানের শঙ্কা আপাতত কম।
রকিবুল আলম জানান, বাংলাদেশের বাজারে এ ফলের চাহিদা রয়েছে। তিনি এক বিঘা জমিতে ফলটির চাষ করেছেন। গত বছরের ২৮ নভেম্বর গাছ লাগিয়েছিলেন। পাঁচ মাস পর ফল আসা শুরু করে। সাত মাসের মাথায় ফল পাকতে শুরু করেছে।
গত শনিবার বাগানে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি গাছের উচ্চতা প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুট। ফলটি দেখতে অনেকটা ডুমুরের মতো। বাগানে লাল রঙের ফলগুলো পাকতে শুরু করেছে। এ জাতের স্বাদ হালকা মিষ্টি।
গাজীপুর থেকে রকিবুল চারা এনেছেন। প্রতিটি চারার দাম পড়েছে ৭২০ টাকা। খেতে ৩০০টি গাছ লাগিয়েছিলেন। এক বিঘা জমিতে এ ফলের চাষ করতে খরচ হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। রকিবুলের ভাষ্য অনুযায়ী, একবার ফল আহরণ করার দেড় মাসের মধ্যে আবার আহরণ করা যায়। ৩০০ গাছে গড়ে ৩ কেজি ফল উঠলে, ৯০০ কেজি হবে। ১ হাজার টাকা কেজি বিক্রি করতে পারলে এক চালানেই ৯ লাখ টাকা আয়ের আশা রকিবুলের।