বিশেষ প্রতিনিধি
চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে রায়পুর গ্রামের নাছির উদ্দিন ও তার পরিবার চরম আশংকার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে মারপিট করে উল্টো নাছির উদ্দিনের পরিবারকে অব্যাহত হুমকী ধামকী দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে বাঘারপাড়া উপজেলার উমরপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব্বারের ছেলে কামরুল ইসলাম ও একই এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মশিয়ার রহমানসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর উল্টো আসামীরা নাছির উদ্দিনের পরিবারকে নানা ভাবে হেনস্থা করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। যার ফলে নাছির উদ্দিন ও তার ভাই আনিছুর রহমান রতন ও তাদের পরিবার চরম আতংকের মধ্যে রয়েছে।
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে নাছির উদ্দিন বাদি হয়ে বাঘারপাড়া থানায় অভিযোগে বলেছেন, কামরুল ইসলাম ও মশিয়ার রহমানের সাথে দীর্ঘদিন যাবত শত্রুতা ও দ্বন্দ্ব চলে আসছে। নাছির উদ্দিন ও তার ভাই আনিছুর রহমান রতনকে মারপিট খুন জখমসহ বড় ধরনের ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করে আসছে।
গত ২২ এপ্রিল বিকেল সোয়া ৫ টার পর উক্ত আসামী ও তাদের অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী সহযোগীরা রায়পুর গ্রামের নাছির উদ্দিনের বাড়িতে প্রবেশ করে ৩ নং রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদে শালিশ বৈঠকে যাওয়ার কথা কলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় ক্ষিপ্ত হয়ে দা, লোহার রড, বাশের লাঠি, জিআই পাইপ নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে নাছির উদ্দিনকে লক্ষ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার এক পর্যায় আক্রমন করে মশিয়ারের হুকুমে কামরুল ইসলাম তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে নাছির উদ্দিনের গলায় ঠেকিয়ে মারপিট পূর্বক জখম করে। নাছির উদ্দিন ও আনিছুর রহমান রতনকে প্রকাশ্যে আসামীরা প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় বাঘারপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর বিবাদীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা নাছির উদ্দিন ও আনিছুর রহমান রতনের পরিবারকে যে কোন সময় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকী ধামকী অব্যাহত রেখেছে।