বিশেষ প্রতিনিধি
যশোর ধর্মতলা টু ছুটিপুর পাকা রাস্তায় মাটি ও বালি সরবরাহ করতে বাধা নিষেধ করার এক পর্যায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা সাব ঠিকাদারের অধীনস্থ কর্মচারী ও তার ভাইকে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট পূর্বক ছুরিকাঘাত করে প্রাণ নাশের হুমকী দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় চিহ্নিত চার সন্ত্রাসীসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন আসামী করা হয়েছে। মামলায় আসামীরা হচ্ছে, যশোর সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা মুন্সীপাড়ার আজিজের ছেলে কামরুল হোসেন ওরফে খোঁড়া কামরুল, ধর্মতলা কালীতলা মন্দিরের পাশের্^ লুৎফর রহমানের ছেলে জনি ওরফে কালো জনি, খোলাডাঙ্গা মুন্সীপাড়ার মোভো মুন্সীর ছেলে টিটো ও টোকনের ছেলে স্মরন হোসেন।
সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা মফিজপাড়ার আব্দুল হাই গাজীর ছেলে রাকিব হোসেন বাদি হয়ে বুধবার দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ধর্মতলা টু ছুটিপুর পাকা রাস্তার উন্নয়ন মূলক কাজের সাব-ঠিকাদার নাজমুল সর্দার রাস্তা উন্নয়ন কাজের মাটি ও বালি সরবরাহ করেন। সাব-ঠিকাদার নাজমুল সর্দারের অধীনস্থ কর্মচারী হিসেবে বাদি রাকিব হাসান তাহার কাজে সহায়তা করেন। বুধবার ২৮ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১ টায় ধর্মতলা ছুটিপুর বাসস্ট্যান্ডে উন্নয়ন মূলক কাজে মাটি ও বালি ফেলার হিসাব রাখার সময় উক্ত আগামীগন বাদির নিকট এসে বলে তুই এবং তোর ঠিকাদার এই সড়কে মাটি ও বালি সরবরাহ করতে পারবি না। যতি সরবরাহ করিস তাহলে বাদি ও বাদির ঠিকাদারকে খুন করে ফেলার হুমকী দিয়ে চলে যায়।
পরবর্তীতে বাদি রাস্তার কাজ শেষ করে বাড়িতে চলে যায়। বুধবার রাত ৯ টায় বাদি ও তার ছোট ভাই আরিফ হোসেন (২২) তাদের বাড়ির সামনে অবস্থান কালে উক্ত আগামীগনসহ তাদের অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন এসে বাদি ও তার ছোট ভাইকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। গালি গালাজ করতে নিষেধ করায় আসামীরা বাদিকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এসময় ছোট ভাই আরিফ হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে ও ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে। এসময় দুই ভাইয়ের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে আসামীরা হত্যার হুমকী দিয়ে চলে যায়।