এম এম নুর আলম, আশাশুনি
উন্নয়নে নয়, বরং প্রতিদিন জোয়ারের পানিতে ভাসছে আশাশুনি বাজার। বুধবার দুপুরেও আশাশুনির মরিচ্চাপ নদীতে অস্বাভাবিকভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজার এলাকার পাউবো’র বেঁড়িবাধের পবিত্র ষ্টোরের সামনে, বাজার বটতলা, ফ্রেন্ডস স্পোর্টিং ক্লাব ও মরিচ্চাপ মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনে এ ৪টি পয়েন্ট থেকে বাঁধ ওভার ফো হয়ে পানি ভিতরে প্রবেশ করে।
এসময় জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়ে আশাশুনি জনতা ব্যাংক মোড়, আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে, থানার সামনে পানি ঢুকে এ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল ও মানুষের যাতায়াতে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও বাজারের পানি ঢুকে পড়লে সকল শ্রেণীর ব্যবসায়ীর ব্যবসায়ীক কার্যক্রম সাময়িক বাধাগ্রস্থ হয়। এসময় আশাশুনি থানার পুকুরটি নদীর লবণাক্ত পানিতে তলিয়ে যেতে দেখা যায়। ফলে থানা মসজিদের মুসল্লিসহ থানা পুলিশ মিষ্টি পানি ব্যবহার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এব্যাপারে আশাশুনি সদর বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের এ ভোগান্তির যেন শেষ নেই। উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রতিনিয়ত এ ধরনের পানি প্রবেশের ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি আমলে নিয়ে বাজার রক্ষা বাঁধের ব্যবস্থা গ্রহণ করার কোন উদ্যোগ নেই। জোয়ারের পানি বাজারে প্রবেশ করাকালীন কিছুু সময়ের জন্য যেন স্থগিত হয়ে যায় বাজার এর সকল কার্যক্রম। এছাড়াও পথচারীদের দূর্ভোগের কোন অন্ত থাকে না।
এব্যাপারে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন খাঁন বলেন, আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত আশাশুনি বাজার রক্ষা ভেড়িবাঁধ নির্মাণের ব্যাপারে এক্ষুনি অবহিত করছি। এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে বাজারের ব্যবসায়ীসহ আশাশুনি সদরের মানুষ বাজার রক্ষা বাঁধের দাবী করে আসছেন। কিন্তু এ গণদাবী আজও উপেক্ষিত রয়ে গেছে। কাজেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আশাশুনি বাজার রক্ষা বাঁধ কতদূর?
এব্যাপারে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানিয়েছেন বাজারের ব্যবসায়ী, ভুক্তভোগী জনগন ও স্থানীয় সচেতন মহল।