সত্যপাঠ ডেস্ক
বাংলাদেশের আবহাওয়ার ইতিহাসে ২৫ এপ্রিল উল্লেখযোগ্য একটি দিন হয়ে থাকবে। সাত বছরের মধ্যে তাপমাত্রার সর্বোচ্চ রেকর্ড হলো এই দিনে। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল যশোরে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, দেশের বেশির ভাগ এলাকার ওপর দিয়ে তীব্র ও মাঝারি দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। যে কারণে বেশির ভাগ এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ছিল। আগামীকাল মঙ্গলবার দেশের বেশির ভাগ এলাকার তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। দাবদাহ আরও কিছু এলাকায় বিস্তৃত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এর আগে ২০১৪ সালের একই দিনে যশোরেই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই বছর চুয়াডাঙায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ও ঢাকায় ৪০ ডিগ্রিতে উঠেছিল। এর পরের বছরগুলোতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে যায়নি, আর ঢাকার তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৫–এর নিচে ছিল। অন্যান্য অনেক বছরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এই ২৫ এপ্রিলে ছিল বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।
কেন ২৫ এপ্রিল দেশের অন্যতম উষ্ণ দিন থাকে, তা নিয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, এপ্রিল-মে এমনিতে দেশের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে বৃষ্টি সবচেয়ে কম থাকে। আর দেশের ওপর দিয়ে উষ্ণ বায়ুপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত দুই যুগে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল যশোরে। তার আগে ১৯৯৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে রেকর্ড ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নামজুল হক বলেন, আগামী দু–তিন দিনের মধ্যে আকাশে মেঘ বেড়ে তাপমাত্রা কমে আসবে। আর মাসের শেষ তারিখ থেকে বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহের শেষে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস রয়েছে। এতে দেশের বেশির ভাগ এলাকার তাপমাত্রা ১ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।