লক্ষ্মণ চন্দ্র মন্ডল, শালিখা
এতকাল নিজের শেখা কাজ করে জীবন জিবিকার চালালেও বয়সের ভারে চরম অসহায় জীবন যাপন করছে ৯০ বছরের এক বৃদ্ধ। বাংলাদেশ জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১২-০৩-১৯৩০। তিনি শালিখা উপজেলার তালখড়ি ইউনিয়নের সেওজগাতি গ্রামের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা, নাম তার নলিনী কান্ত বিশ্বাস।
পেশায় ছিলেন এক জন কাঠ মিস্ত্রী। লাঙ্গল তৈরি ও ঘর নির্মান ছিল তার মূল কাজ। এ কাজ করেই স্ত্রী সন্তান নিয়ে কোন রকম খেয়ে পরে দিন পার করলেও বর্তমানে তিনি আছেন চরম দুর্দিন। দিন আনা দিন খাওয়া এই ব্যাক্তি শত জায়গায় ধর্ণা দিয়েও পায়নি একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড।
বর্তমান তিনি বাড়ির নিচে রাস্তার পাশে বসে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন কারও সাথে সাক্ষত হলে। ভাটোয়াল থেকে সেওজগাতি যাওয়ার পথে তার সাথে সাক্ষত হয়। এ সময় তিনি তার জীবনের নানান কথা তুলে ধরেন।
এক পর্যায়ে তার কাছে বয়স্ক ভাতার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাতার জন্য শত যায়গায় চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি। অথচ আমাদের ওয়ার্ডের অনেক ব্যাক্তি আমার থেকে ২০/৩০ বছরের ছোট ও ধণী তারাও শুনেছি ভাতা পায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন, মেম্বরে পছন্দের লোক না হলে যেই হোক ভাতা মেলে না।
এ ব্যাপারে ঐ এলাকার মেম্বর অনিমেষ বিশ্বাসের সাথে কথা হলে তিনি জানান, দুই মাস আগে আমি উনার বাড়িতে গিয়েছিলাম, এক পর্যায়ে কথা প্রসংগে নলিনী বিশ্বাসের কাছে বয়স্ক ভাতার কথা শুনতেই তিনি বল্লেন আমার বয়স্ক ভাতার কার্ড নাই। আমি উনাকে কথা দিয়েছি পরবর্তিতে সুযোগ আসলে আমি তার নামে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেব।