বেনাপোল প্রতিনিধি
করোনা মহামরির দ্বীতিয় ঢেউ ভয়াবহ রুপ নেওয়ার মধ্যেই দেশের বৃহত্তম স্থল বন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারত বাংলাদেশ এর মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত অব্যাহত রয়েছে। যা বিরজমান অবস্থায় বিপদজনক ও ঝুকি পূর্ণ বটে। স্বাস্থ্য বিশ্লেষকদের পর্যবেক্ষন থেকে যতদুর জানাগেছে যে করোনা মহামারির যে চারটি ভংঙ্কর স্বভাব পাওয়া গেছে তার একটি উৎপত্তি ভারতের পশ্চিম বঙ্গ রাজ্য থেকে। আর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের গোটা সীমান্তে অর্ধেক এর বেশী পশ্চিম বঙ্গের সাথে। ফলে এই বন্দর দিয়ে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত সীমিত না করলে ঝুকি আরো বাড়বে বলে পর্যবেক্ষক মহলের ধারনা।
উল্লেখ্য ভারত থেকে প্রতিদিনই দু’চারজন করোনা পজিটিভ নিয়ে দেশে ফিরছে অনেক বাংলাদেশী নাগরিক। যে সব যাত্রীরা ফেরত আসছে তাদের গতবছর লকডাউন এর সময় বাধ্যতামুলক ১৪ দিন এর কোয়ারেন্টাইনে থাকার নিয়ম করলেও এবার তা করা হয়নি। বলা হচ্ছে ফেরত যাত্রীরা স্বেচ্ছায় থাকছে ১৪ দিন এর কোয়ারেন্টাইনে। বিষয়টি খুবই হাস্যকর ? যেখানে সাধারন নাগরিকদের মাস্ক ব্যবহার এর জন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রানান্ত চেষ্টা করতে হচ্ছে সেখানে স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টাইন কেউ মানবে ? জানাগেছে যুক্ত রাজ্য, ব্রাজীল, দক্ষিন আফ্রিকা এবং ভারত করোনার এই চারটি ভয়ংকর স্বভাবের সবচেয়ে ভয়ংকরটির উৎপত্তি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে হওয়াতে গত এক সপ্তাহ যাবৎ গোটা পশ্চিম মধ্যে ও উত্তর ভারতে করোনা দানবের রূপ ধারন করেছে। এই অবসস্থায় নিতান্তই জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ভারত সফর থেকে বিরত থাকার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করছে।
ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা না রাখা বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব এই প্রতিবেদকের কাছে টেলিফোনে জানান আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করি। আমাদের কাজ শুধু আগমন ও বর্হিগমন সংক্রান্ত ইমিগ্রেশন করে দেওয়া। এর বাইরে স্বাস্থ্য বিভাগ উপজেলা প্রশাসন তারাই কোয়ারেন্টাইন সংক্রান্ত বিষয়দি দেখ ভাল করবে। কোয়ারেন্টাইনে রাখা না রাখার দায় দায়িত্বও তাদের। দুদেশের যাত্রী যাতায়াত বন্ধ হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন এরকম সিদ্ধান্ত হতে পারে।
তবে কোন চিঠি আমরা হাতে পায়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌখিক ভাবে বলেছে যাত্রী পারাপার বন্ধ হতে পারে। তবে এরকম সিদ্ধান্ত হলে যারা ইতিমধ্যে ভারত গিয়েছে তারা হাইকমিশনের অনুমতি নিয়ে দেশে প্রবেশ করতে পারবে। তাছাড়া অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারাও একই ভাবে অনুমতি নিয়ে আসবে। এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলীফ রেজার মোবাইল ফোনে কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। আবার শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মোহাম্মাদ ইউসুফ আলীর মোবাইল ফোনেও কল করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে জানা গেছে গত এক সপ্তাহে প্রায় ২৯ জন করোনা পজিটিভ রোগী ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত এসেছে। যাদের কেউই কোয়ারেন্টাইনে নেই। যা সত্যি বিপদজনক।