সত্যপাঠ ডেস্ক
ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ায় দেশটির সঙ্গে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি বলে জানিয়েছেন কভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ। শনিবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে খুব বেশি যাতায়াত হলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি অবশ্যই আছে।
তিনি বলেন, আমরা সীমান্তে কড়াকড়ি করতে বলছি। আসা-যাওয়া সীমিত করতে হবে। এর মানে একেবারে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ভ্রমণ করবেন না। কোনো রকম পর্যটন, বিনোদন বা সাধারণ কারণে যাতায়াত বন্ধ করা যেতে পারে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতের অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে। অক্সিজেনের অভাবে অনেক হাসপাতাল থেকে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর খবর আসছে। বিশ্বরেকর্ড গড়ে আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছে প্রতিদিন। এরমধ্যে করোনাভাইরাসের নতুন একাধিক ধরনও শনাক্ত হয়েছে দেশটিতে। এমনকি ‘দুইবার রূপ পরিবর্তন করা’ ধরনও পাওয়া গেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানায় বিবিসি।
এমন পরিস্থিতিতে দেশটির সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ ও সীমিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে অধ্যাপক সহিদুল্লাহ বলেন, ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, সীমিত করতে না পারি এবং কোয়ারেন্টাইন করতে না পারি, তাহলে এটা তো ছড়িয়ে পড়বেই।
বিষয়টি নিয়ে জাতীয় কমিটির সদস্যরা এরমধ্যে কথা বলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি সরকারকে জানানো হবে। আমরা এখনও সুপারিশ করিনি। তবে করব। সদস্যদের মিটিংয়ে এটা আলোচনা হয়েছে।
তবে এ মুহূর্তে সীমান্ত বন্ধের কোনো প্রয়োজন নেই বলে মনে করছেন আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন। এক্ষেত্রে ভ্রমণকারীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, এ মুহূর্তে বর্ডার বন্ধ করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যারা ভারত থেকে আসবেন, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। এটার বিকল্প কিছু নেই।
এদিকে শনিবারও ভারতে রেকর্ড তিন লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে টানা তৃতীয় দিন তিন লাখের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছে দেশটির সরকার।
শনাক্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে রেকর্ড দুই হাজার ৬২৪ জন রোগী মারা গেছেন বলে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এ নিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ জনসংখ্যার এই দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু সংখ্যা এক লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৪ জনে পৌঁছেছে।