শালিখায় বোরোর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

0
224

শালিখা প্রতিনিধি
মাগুরার শালিখায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের বা¤পার ফলনে কৃষকের মুখে দেখা দিয়েছে হাসির ঝিলিক। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ধানের বা¤পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছে কৃষক।
এই মৌসুমে উপজেলায় ১৩ হাজার ৭শত ৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে উফসি ১১ হাজার ৭১১ হেক্টর, হাইব্রিড ১ হাজার ৯৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে।কৃষকরা আশা করছেন, চলতি মাসের শেষের দিকে তাদের কাক্সিক্ষত অধিাকাংশ সোনালী ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এ পযন্ত ৪ হাজার ৩শত ৬ হেক্টর জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছে কৃষক। এই ধান ঘরে তুলতে কৃষি বিভাগ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। দলীয় আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। উপজেলার তালখড়ি ইউনিয়নের নাঘোসা, দেলুয়াবাড়ি, ছান্দাড়া, সোনাডাঙ্গা গ্রামে সবচেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হয় থাকে। নাঘোসা গ্রামের ধান চাষি আঃ কাদের মোল্লা জানান, এবার ১১ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছি।


গত বোরো মৌসুমে ৭ বিঘা জমিতে ধান চাষ করে ছিলাম। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানও খুব ভালই হয়েছে। প্রতিটি শীষ ক্ষেতে সোনার মত ঝিলিক মারছে। বাজারে ভাল দাম পেলে লাভবান হতে পারবো। শালিখা সদর আড়পাড়া ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের ধান চাষি মুকুল শেখ জানান, এবার ১ একর জমিতে ধানের চাষ করেছি। এর মধ্যে ব্রি-২৮ জাতের ধান আছে ৪০ শতক ও বাকি ৬০ শতাংশ জমিতে মিনিকেট জাতের ধান চাষ করেছি। ফলনও ভাল হয়েছে এবার স্বপ্ন দেখছি ভাল দামের। তিনি আরও বলেন, ধান কাটার শ্রমিকের মজুরি একটু বেশি। মাথা পিছু শ্রমিককে দেওয়া লাগছে ৮০০ টাকা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি এলাকায় কম বেশি বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নির্বিঘেœ ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর কাজ করতে পারছেন কিষান-কৃষানিরা। সোনালি ধানের ম-ম গন্ধে মনের আনন্দে কাজ করছেন তাঁরা। কথা বলার মতো যেন ফুরসত নেই তাঁদের। এসব ধান নিয়ে কৃষক কৃষাণী যেমন ব্যস্ততা, তেমনি আনন্দও লক্ষ করা যাচ্ছে তাদের মাঝে। কৃষকের ধান কাটার আনন্দ গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরম কেও হার মানাচ্ছে। শালিখা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলমগীর হোসেন বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর বোরো ধানের ফলন ভালো হবে আশা করছি। করোনার কারণে কৃষকরা ঠিকমতো ফসলের পরিচর্যা করতে না পারলেও অনুকূল আবহাওয়ার কারণে বোরো ধানের বা¤পার ফলন হবে বলে আশা করছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here