বগুড়ায় উদ্ধারকৃত ফেনসিডিল বিক্রি; এএসপিসহ ৩ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

0
207

সত্যপাঠ ডেস্ক
বগুড়ায় ২৪৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে সেখান থেকে ৮৮ বোতল বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনায় মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে দুই পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও শিবগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকীকে (এএসপি) প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ হেডকোয়ার্টাস থেকে এএসপিকে প্রত্যাহার সংক্রান্ত একটি আদেশ বগুড়ার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পৌঁছেছে।
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ স্বাক্ষরিত আদেশে শিবগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকীকে প্রত্যাহার করে বরিশাল রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে বিকেলে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা অন্য দুজন পুলিশ কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শাহিন জামান ও ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলার বাদী উপপরিদর্শক (এসআই) সুজাউদ্দৌলাকে প্রত্যাহার করেন।
জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল রাতে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি করেন মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা। চেকপোস্টে নেতৃত্ব দেন শিবগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সদস্যরা জানান, যানবাহন তল্লাশিকালে ঢাকাগামী বাস খালেক পরিবহন থেকে নাজিম নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ বোতল এবং পিংকি পরিবহন নামের বাস থেকে সাইফুল ইসলাম নামের একজনকে ১৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উপপরিদর্শক (এসআই) সুজাউদ্দৌলা বাদী হয়ে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন।
পিংকি পরিবহন থেকে উদ্ধারকৃত ১৯৮ বোতল ফেন্সিডিলের স্থলে ১১০ বোতল জব্দ দেখিয়ে সাইফুলের নামে মামলা দেওয়া হয়। বাকি ৮৮ বোতল ফেনসিডিল অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ উঠে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বগুড়ার পুলিশ সুপার মামলা দুটি ডিবিতে স্থানান্তরের আদেশ দেন।
এছাড়াও ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর তিনি গত ২০ এপ্রিল মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ফেনসিডিল উদ্ধারের সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্য ছাড়াও মামলার সাক্ষীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শাহিন জামান বলেন, প্রত্যাহারের আদেশ এখনও পাইনি। আদেশ পাওয়ার সাথে সাথে চলে যাবো।
বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা এই তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here