বেনাপোল প্রতিনিধি
নারী কেলেংকারী দিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে শার্শার নিজামপুর ইউনিয়ন এর চান্দীরাঘোপ গ্রামে। রাত বারোটার সময় উপজেলার বসতপুর বাজার থেকে একটি টিভি মেরামত করে একঝালা বাজারের পাশে জয়নালের দোকানে দিয়ে চলে আসার সময় সাইফুল নামে এক যুবককে রাস্তা থেকে আটক করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে। ভুক্তভোগি একই ইউনিয়নের একঝালা গ্রামের এক সন্তানের জনক সাইফুল ইসলাম অভিযোগটি করেন।
শার্শার নিজামপুর ইউনিয়নের একঝালা গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন, জয়নালের একটি টেলিভিশন মেরামত করে সম্প্রতি সে এবং জয়নাল বসতপুর বাজার থেকে রাত ১২ সময় একঝালা জয়নালের দোকানে ফেরে। এরপর জয়নাল তাকে একটি পান দিলে সে পানটি সে খাইলে তার সমস্ত শরীর টলতে খাকে। সে পথ হারিয়ে ফেলে। এসময় তাকে কয়েকজন যুবক ধরে দড়ি দিয়ে বেধে বলে তুই আছোর মিয়ার মেয়ের সাথে অবৈধ মেলামেশা করেছিস। তাদের আমার বিষয়টি বার বার বুঝাতে চেষ্টা করলেও তারা মানতে রাজি নয়। প্রথমে ওই গ্রামের লিটন আমাকে রাস্তা থেকে ঝাপটে ধরে অন্যান্যদের ফোন দিয়ে বলে তোরা কোথায় কে আছিস। চলে আয় একটা মাল পেয়েছি। অনেক টাকা হবে। এরপর একের পর এক অনেকগুলো লোক এসে আমার নিকট ১ লক্ষ টাকা দাবি করে। আর আমাকে মারতে থাকে। পরে আমার পরিবার ও মা আসে। আমার মা আমার মারধর সহ্য করতে না পেরে ওদের ৪০ হাজার টাকা দিতে রাজী হয়ে ১৫ দিনের সময় নেয়।
সাইফুলের সাথে কোন অনৈতিক কাজ হয়েছে কি না এ ব্যাপারে আছোর আলীর মেয়ে ফেরদৌসীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সাইফুলকে ভালো ভাবে চিনি না। আমাদের বাড়িতে সে আসেও নাই। আমার পিতার সাথে নাকি তার পরিচয় আছে। কোন দিন কোন ফোনে তার সাথে প্রেম জাতিয় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে কিনা জানতে চাইলে বলেন আমি তার ফোন নাম্বার কোথায় পাব। আমরা সকালে উঠে শুনি ওই নামে একজনকে আমার সাথে অপবাদ দিয়ে আটকিয়ে টাকা পয়সা চেয়েছে গ্রামের ছেলেরা।
সাইফুলের মা নুরজাহান বেগম বলেন, আমার ছেলে একজন গাড়ি চালক। তার স্ত্রী ও একটি সন্তান রয়েছে। তাকে টাকা আদায়ের জন্য স্থানীয় কালাম চেয়ারম্যান এর লালিত সন্ত্রাসীরা ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি তাকে নির্যাতনের দৃশ্য দেখে ৪০ হাজার টাকা দিতে রাজী হয়ে ছাড়িয়ে আনি। আমি পরের বাড়ি কাজ করে খাই কোথা থেকে টাকা দিব।
বিষয়টি আলিমুল এর কাছে জানতে চাইলে সে বলে গ্রামের ছেলেরা রাত ১২ টায় তাকে আছোর এর বাড়ি থেকে আটক করেছে। তারপর সে স্বীকার করেছে আছোর এর মেয়ের সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে। সেই ভাবে তার একটি জরিমানা ধরা হয়েছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল কালামের নিকট ফোনে বিষয়টি জানার জন্য কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি একবার রিসিভ করে বলেন আমি ব্যস্ত আছি।