বেনাপোল বন্দর থেকে পদ্মা সেতুর ৭ শত মেট্রিক টন বোল্ডার পাথর উধাও

0
168

বেনাপোল প্রতিনিধি
শত চেষ্টাতেও বেনাপোল স্থল বন্দর এর অভ্যন্তরে অনিয়ম দুর্নীতি. স্বেচ্ছাচার, পণ্য পাচার আদৌও বন্ধ হচ্ছে না। এই বন্দরে যতগুলো পণ্যগার আছে তার সংখ্যা গরিষ্ঠগুলোর মধ্যে অনিয়ম, অপরাধ বলা চলে লেগেই আছে। আর এগুলো বর্তমান আশ্রয় প্রশ্রয় দাতা হলো এই বন্দরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক ট্রাফিক মামুন কবির তরফদার ও তার দক্ষিন হস্ত বলে পরিচিত সহকারী পারিচালক আতিকুল ইসলাম। এর একটি জলন্ত প্রমান ট্রাক টার্মিনাল এর মাঠে নামানো তিন কনসাইনমেন্ট এর সাতশত মেট্রিকটন বোল্ডার পাথর উধাও হয়ে যাওয়া।

উল্লেখ্য এই মাঠে পর পর তিনটি চালানে ১২৭৬.৪৫১ টন বোল্ডার পাথর নামানো হয়েছিল। পদ্মা সেতু নির্মানের কাজে এই পাথর আনা হয় বলে জানা গেছে। তবে উল্লেখিত পরিমান পাথর থেকে প্রায় সাত শত মেট্রিক টন পাথর এর হদিস পাওয়া যায়নি। যে তিন চালানে এই পাথর ঢুকেছিল তার প্রথমটির মেনিফিস্ট নম্বর ২৬৫১৬/১৩ তারিখ ১১/০৭/২০১৯। এই চালানে পাথরের পরিমান ৫৫৯.৯৮০ টন। দ্বিতীয়টির ম্যানিফিষ্ট নম্বর ২৫৫৩৬/১০ তারিখ ২০/০৭/২০১৯ এই চালানে পাথরের পরিমান ৪১১.৭৯১ টন। তিৃতীয় চালানের ম্যানিফেস্ট নাম্বার ২৭৩০৮/৭ তারিখ ৩/০৮/২০১৯ এই চালানে পাথরের পরিমান ৩০৪.৬৮০ টন।

আমদানিকারক এই পণ্য যথাসময়ে সরবরাহ গ্রহন না করায় কাস্টমস তা নিলামে উঠায়। নিলাম ইনভেন্ট্রিতে উল্লেখিত ৭ শত টন পাথর উধাও হয়ে যাওয়ার তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার এর স্বাক্ষরিত এক পত্রে বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক ট্রাফিক বরাবর বিষয়টি উল্লেখ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করা হয়।

পত্রটি সিনিয়র উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল এর কাছে পৌছানোর পর তা উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার নিজ হেফাজতে নিয়ে নেন। এমনকি পত্রটির বিষয়ে কোন পদক্ষেপ তো দুরে থাক তিনি সেটি নিজ দপ্তর থেকে বাসায় নিয়ে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি এই ঘটনার মুল নায়ক ওই ওপেন ইয়ার্ড এর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জাহিদুল ইসলাম, এবং তার নেপথ্য দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারি পরিচালক আতিকুল ইসলাম বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তবে এই ইয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির মজুমদার অসুস্থ থাকলেও এই ঘটনার দায় ভার এড়াতে পারেন না।

এরকম আরো একটি ঘটনা ৩৯ নম্বর শেড বা পণ্যাগারে । এই শেডের মাঠ থেকে ক’মাস আগে একটি পণ্য চালানের লোড গাড়ির ভিতর থেকে অবৈধ বারো বেল শাটিং শুটিং আটক হয়। এই ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে সহকারি পরিচালক আতিকুল ইসলাম জড়িত বলে অভিযোগে জানা গেছে।

তবে তার আশ্রয়ে এই অবৈধ পণ্য ওই শেড এর ভিতর থেকে যে লোকটি কৌশলে ওই গাড়িতে উঠিয়েছিল সেই সাহিন আজো পলাতক রয়েছে। অবশ্য শেড ইনচার্জ শাহিদুজ্জামান লিটন যদিও বলছেন তিনি এই ঘটনা আদৌ জানেন না। যারা ঘটিয়েছে তাদের ব্যপারে আপনারা অনুসন্ধান করে দেখুন। তবে প্রশ্ন উঠেছে মামুন কবির তরফদার বিষয়টি নিয়ে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন না করে শাহিদুজ্জামান লিটনকে লোভনিয় পোষ্টিংয়ে পাঠিয়েছে ভোমরা স্থল বন্দরে।

এসব বিষয়ে বেনাপোল স্থল বন্দর এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক ট্রাফিক মামুন কবির তরফদার এর কাছে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here