শালিখা প্রতিনিধি
বর্ষা মৌসুম চলে গেলেও শালিখা উপজেলার ফটকি নদীসহ বিভিন্ন খালে আড়বাধ দিয়ে অবৈধ্য ভাবে মাছ শিকার ও মাছের অবাধ চলা-চলের বাধা সৃষ্টি করছে কিছু অসৎ ব্যাক্তি। উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র আড়পাড়ার ফটকি নদীর ব্রীজের উভয় পাশের ১ কিলো মিটারের মধ্যে কমপক্ষে ১৩টি আড়বাধ রয়েছে। অতি সুকৌসলে পানির সমান্তরল থেকে ৫ থেকে৭ ইঞ্চি নিচে কোথাও বা কচুরী পানার আড়ালে এগুলি তৈরি করা হয়েছে।
প্রশাসনের চোঁখ ফাকি দিতে এ ধরনের কৌশল নিয়েছেন তারা। সরকারী বিধি ও মৎস্য আইনের উন্মুক্ত জলাশয়ে এধরনের বাধ তৈরি স¤পুর্ন নিষিদ্ধ। অথচ আইনের চোঁখ ফাকি দিয়ে কিছু অসৎ ব্যাক্তি সারা বছর ধরে আড়বাধ দিয়ে মাছ উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করছে। ফটকি নদী ছাড়াও চিত্রা, বেগবতী নদী, কানুদার খাল সহ বিভিন্ন জলাশয়ে এ ধরনের আড়বাধ থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে শালিখা উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মীর লিয়াকত আলীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাদের অনেক সমস্যা আছে সময় করে এক সময় অফিসে আসেন, পরে তার কথা মত অফিসে যেয়েও উনাকে অফিসে পাওয়া যায নাই, এমনকি ফোনেও পাওয়া যায় নি।
আড়বাধ স¤পর্কে জেলে পরিবারে সন্তান ইন্দ্রনীল বলেন, এখন এমনিতেই দেশীয় প্রজাতীর মাছের পরিমান কমে গেছে, এর পরও অবৈধ্য ভাবে মাছ শিকার করলে মা মাছ থাকবে না। আর মা মাছ না থাকলে মাছের ভরা মৌসুমেও মাছের সংকট সৃষ্টি হবে। এবং এভাবে চলতে থাকলে এক সময় আমাদের দেশ থেকে দেশিয় মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।