এম এম নুর আলম, আশাশুনি
আশাশুনি উপজেলায় প্রশাসনের তৎপরতার মধ্যদিয়ে সর্বাত্মক লকডাউন এর প্রথম ও দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হয়েছে। লকডাউন এর প্রথম দিন বুধবার পহেলা রমজান থাকায় সকালে অধিকাংশ হাটবাজারের দোকান-পাট বন্ধ ছিল। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও মোড়ে মোড়ে সাধারণ মানুষের ভিড় দেখাগেছে। দেখে মনে হয়েছে লকডাউন এ ঘরে থাকার কথা থাকলেও কিছু অসচেতন জনগন বেশী বেশী বাহিরে বেরিয়ে হাট-বাজার ও মোড়ে মোড়ে আড্ডা দিয়ে উৎসব মূখর পরিবেশে লকডাউন এর প্রথম দিন পালন করেছেন।
এছাড়াও দ্বিতীয় দিনে দু’একটি বাজার ব্যতীত অধিকাংশই হাট-বাজার গুলোতে দোকান-পাট খোলা ছিল আগের নিয়মেই। এ দুইদিনে উপজেলার অধিকাংশ হাট বাজারের বিকাল ৩টার পরেও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সকল দোকান খোলা ছিল। তবে এ দুইদিনে স্থানীয় রুটে কোন বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। মানুষকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যওয়ার জন্য ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত ভ্যান, ইঞ্জিন ভ্যান ও মোটরসাইকেল এর দখলে ছিল রাস্তাঘাট। এসময় অধিকাংশ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও মাক্স পরিধানে অনীহা দেখাগেছে।
এদিকে, সর্বাত্মক লকডাউন সফল করতে উপজেলার হাট-বাজার ও সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রশাসনের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় লকডাউনের মধ্যে সরকার ঘোষিত বিভিন্ন নির্দেশনা পালনসহ যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা এবং বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল আছে কিনা তা তদারকিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
এসময় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোস্তফা কামাল এর নির্দেশনা মোতাবেক আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হুসেইন খাঁন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন সুলতানাকে লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে থেকে কঠোর পরিশ্রম করতে দেখাগেছে।
এসময় তারা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সাথে নিয়ে সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে সরকারি নীতিমালা অমান্য করায় আশাশুনি বাজার, গোয়ালডাঙ্গা বাজার, তেঁতুলিয়া বাজার, দরগাহপুর বাজার, মানিকখালি ইজিবাইক স্ট্যান্ড, বুধহাটা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বুধবার লকডাউন এর প্রথমদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৩ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মোট ৪টি মামলায় ৩ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লক ডাউন ভঙ্গ করলে এবং স্বাস্থ্য বিধি না মানলে বা সরকারের দেয়া শর্ত ভঙ্গ করলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আরও কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে জানানো হয়। এদিকে, উপজেলার সচেতন মহল লকডাউন চলাকালে উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতা আরও বৃদ্ধির দাবী জানিয়েছেন।