বিশেষ প্রতিনিধি
সরকার ঘোষিত ৭ দিনের লক ডাউনের তৃতীয় দিন ৭ এপ্রিল বুধবার যশোর শহরে গেল দু’ দিনের তুলনায় মানুষের যাতায়াত ছিল স্বাভাবিক। তৃতীয় দিনে বেশির ভাগ মানুষই লক ডাউন মানেনি। জীবন জীবিকার তাগিদে তারা ঘরের বাইরে বের হয়ে আসে। শহরের অন্যান্য দিনের মতো যানবাহন চলাচল ছিলো স্বাভাবিক। শহরের বিভিন্ন সড়কের রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইক ও প্রাইভেটকার লক ডাউন উপেক্ষা করে চলাচল করতে দেখা গেছে। শুধু মাত্র দোকানপাঠ বন্ধ ছিল ও দূরপাল্লার বাস চলাচল করেনি।
জেলা প্রশাসনের ভ্যাম্যমান আদালত কঠোর নিষেধাজ্ঞা মানতে বাধ্য করতে শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রাখে। এদিন স্বাস্থ্য বিধি লংঘনের অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালত ১৩ টি মামলা করে। এ সব মামলায় ৬ হাজার ১ শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যথাক্রমে শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, তানজিলা আখতার ও নাদির হোসেন শামীম।
এদিকে করোনা সম্পর্কে গনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে শহরের গত দুদিনের চেয়ে বুধবার ৭ এপ্রিল পুলিশি তৎপরতা কম লক্ষ্য করা গেছে। শুধুমাত্র শহরের প্রান কেন্দ্র দড়াটানা ট্রাফিক বক্সে অল্প কয়েকজন পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। ট্রফিক পুলিশের পরিদর্শক মাহাবুবুর রহমান জানান, সরকার ঘোষিত কঠোর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অহেতুক শহর ও শহরতলীতে মোটর সাইকেল ও ইজিবাইক চালানোর অভিযোগে বুধবার শহর ও শহরতলীর ৯ টি চেকপোষ্ট থেকে ৩১ টি মোটর সাইকেল ও ৪ টি ইজিবাইক আটক করা হয়।
অপর দিকে বুধবার জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় সরকারের জনস্বার্থে গৃহীত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে সরকারি কর্মচারি, স্থানীয় সরকার বিভাগের জন প্রতিনিধিবৃন্দের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সক্রিয় অংশ গ্রহনে মোটিভেশন ও মনিটরিংয়ের মাধ্যমে জনগণকে উদ্ধুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। জনগনকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনা বৃদ্ধি করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়।