বেনাপোল প্রতিনিধি
বৈশ্বিক মহামারি করোনার দ্বিতীয় দফা ছোবল বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে। আর তা থেকে মুক্ত নয় বেনাপোল স্থল বন্দর এলাকাও। পরিস্থিতী মোকাবেলায় প্রশাসন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী লক ডাউনের তৃতীয় দিনেও ইতিবাচক ভুমিকা পালন করছে। তবে স্বাভাবিক জনজীবনে যথেষ্ঠ হতাশা নেমে এসেছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আগ্রহ জনমনে খুব কমই দেখা যাচ্ছে।
চলমান পরিস্থিতী প্রেক্ষাপট সম্পর্কে সরোজমিন খোজ নিতে যেয়ে দেখা গেল সকাল ৯ টা নাগাদ আইশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্যবৃন্দ বেনাপোল বাজার এলাকায় ক্রেতা বিক্রেতার ভিতর সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়াস চালাচ্ছেন। তারা ক্রেতা বিক্রেতাদের নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ করছেন। কিন্তু ক্রেতা বিক্রেতাদের তরফ থেকে তেমন ভাবে স্বাস্থ্য বিধি মানার আগ্রহ দেখা যায়নি। ফলে অনেকেই বলছেন করোনা পরিস্থিতীর আরো অবনতি ঘটে কিংবা লক ডাউনের সময় সীমা বৃদ্ধি করা হয় তাহলে গতবারের মত ফাঁকা কোন জায়গায় মৎস ও সবজি বাজার স্থানান্তর করা জরুরী।
এদিকে এই বন্দর এলাকায় যে সব ইজিবাইক ভ্যান চালক যাত্রী কিংবা মালামাল পরিবহন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তাদের চলাচল নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। সকাল ১০ টার পর তারা রাস্তায় চলাচল করতে পারছে না। ফলে যাত্রী সাধারন যেমন চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন পাশাপাশি এই পেশার দিন আনা দিন খাওয়া সহ¯্রাধিক চালক, পরিবার পরিজন নিয়ে বিপর্যয়ে নিপতিত হয়েছেন। ব্যবসায়িদের মাঝেও হতাশা লক্ষ করা যাচ্ছে। একদিকে তারা যেমন দুর দুরান্ত থেকে মালামাল পরিবহন করে আনতে পারছেন না ; অন্যদিকে ক্রেতারাও যানবাহন সংকটে তেমন কেনাকাটায় আসছেন না। এমনকি অসুস্থ রোগী নিয়ে দুরের হাসপাতাল কিংবা কিনিকে যাওয়ার প্রয়োজনেও যানবাহন পাওয়া যাচ্ছে না। সব কিছু মিলিয়ে একটি হতাশার ছায়া দেশের এই বৃহত্তমও বন্দর এলাকায় পড়েছে। যার প্রভাব আমাদনি রফতানির বানিজ্যের ওপরও কমবেশী পড়ছে।