বিশেষ প্রতিনিধি
যাশোর কেশবপুর উপজেলায় ছয় বছরের শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলায় ইমরান হোসেন নামে এক মসজিদের মুয়াজ্জিনকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি পৌরসভার ভবানীপুর এলাকার খোরশেদ আলীর ছেলে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে সোপর্দ করলে তিনি ঘটনার বিষয় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। একই দিন ভিকটিমও আদালতে জবানবন্দি দেন। দু’জনের জবানবন্দি গ্রহন শেষে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসান আসামিকে কারাগারে ও ভিকটিমকে পরিবারের জিম্বায় প্রদান করেন।
আদালতে ইমরান জানায়, তিনি মধ্যকুল জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন। সোমবার আসরের নামাজের পর তিনি বাচ্চাদের আরবি পড়ায়। আরবি পড়ানো শেষে সবাই বাড়ি চলে যায়। পরে ওই শিশুকে নিয়ে বারান্দার পেছনে নিয়ে শিশুকে জড়িয়ে চুমু খায়। এরপর ভুলবসত অশালীন কার্যকালাপ করে। এসময় তার বীর্যপাত হয়ে যায় তার। পরে শিশু বাড়ি চলে যায়। পরে শিশুর মা বাবা তার কাছে আসে। এরপর মামলা করলে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে আসে।
এদিকে, আদালতে ওই শিশু জানায়, ওই দিন তারা অনেকে হুযুরের কাছে পড়তে যায়। হুজুর সবাইকে ছুটি দিয়ে দেয়। আর তাকে নিয়ে হুজুর পাইজামা খুলে ফেলে। পরে চিৎকার দিলে হুযুর ছেড়ে দেয়। সে কাদতে কাদতে বাড়ি চলে যায়।
এদিকে, এ ঘটনায় শিশুর পিতা বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তাপস কুমার রায় সোমবার রাতে ইমরানকে আটক করে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে সোপর্দ করে।