বাঘারপাড়া ও বসুন্দিয়া এলাকার মাঠে মাঠে হঠাৎ ইরি-বোরো ধানের শীষ শুকিয়ে সাদা! 

0
233

এস.এম মুসতাইন, বসুন্দিয়া
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা ও বসুন্দিয়া এলাকার মাঠে বিলে চলতি ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা ভেস্তে গেলো, হঠাৎ কাল-বৈশাখীর বিষাক্ত গরম ঝড়ো হাওয়ায় কেড়ে নিলো চাষির স্বপ্ন, ধানের শীষ শুকিয়ে সাদা হয়ে গেছে কৃষকের মাথায় হাত।

গত ৪ এপ্রিল রোববার সন্ধ্যায় হঠাৎ কাল-বৈশাখী ঝড়ো হাওয়া আঘাত আনার পর ৫ এপ্রিল সোমবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের চাষিরা ধানের ক্ষেত দেখে মাথা ঘুরে বেহুশ হয়ে পড়ছে, যত মরন চাষির কপালে।
এখবর চারিদিকে মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা কৃষি উপ-সহকারি কর্মকর্তারা এলাকার মাঠে মাঠে ঘুরে সরোজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে নিশ্চিত হন যে, কাল-বৈশাখীর বিষাক্ত গরম বাতাসের ছ্যাকা লেগে ধানের শীষ শুকিয়ে গেছে এর প্রতিকার তেমন নেই।

এঘটনা দেখার জন্য সংবাদকর্মীরা সরোজমিনে বিভিন্ন মাঠ ঘুরে চাষিদের কষ্টের কথা তুলে ধরেন, ভিটাবল্যা তেঘরী গ্রামে মোস্তাফিজুর রহমান লাল মিয়া, গোলাম রসুল মোল্যা, আলী অহম্মদ মোল্যা, রাজু আহম্মদ, মিজানুর রহমান, বাররা গ্রামের রবিউল ইসলাম, বারভাগ গ্রামের মোসলেম সরদার, আবুল খায়ের মোল্যা, তহিন মোল্যা, আলাদীপুর গ্রামের আব্দূল বারেক, সামাদ হোসেন, শহর আলী বিশ্বাস সহ অনেকে বলেন, প্রতি বছর কোন না কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষকের ফসল নষ্ট হয়ে সোজা হয়ে দাড়ানোর ক্ষমতা থাকছে না।
গত বছর অতিমাত্রার বৃষ্টির ফলে ইরি-বোরো ধান কাটতে হিমশিম খেয়ে লোকসানের ঘানি টানতে হয়েছে। গাছে পাতায় ভাল দেখা গেলেও ব্লাস্ট ও পাতা পোঁড়া রোগে অনেক ক্ষতির সম্মুখিনে পড়ে ছিল কয়েক বছর। আর এবছর ভিন্ন ভাবে ক্ষেতের ফসল কেঁড়ে নিল বিধাতা একদিনে শেষ করে দিল আশানুরুপ ফলন।

এবছর আশা ছিল আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে পিছের ঘাততি পুরন হবে তা আর সম্ভব হলোনা।

এব্যাপারে বাঘারপাড়া উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা বাবু বিজন কুমার ও কল্লোল হালদারের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় হঠাৎ কাল-বৈশাখীর গরম ঝড়ো বাতাসের ছ্যাকা লাগার ফলে এমন অবস্থা হয়েছে। এটা সারা বাংলাদেশেই ঘটেছে প্রতিকার তেমন নেই, ফলন বিপর্যয়ে নেমে আসার সমভাবনা নিশ্চিত। বসুন্দিয়া এলাকার ঘুনি, গাইদগাছি, খোলাডাঙ্গার মাঠ ঘুরে একই অবস্থা দেখা গেছে।

অনেক চাষির মন মানছে না তাই বাজার থেকে বিভিন্ন ছত্রাকনাশক ভিটামিন কিনে নিয়ে স্প্রে করছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে কৃষকের মুখ থুবড়ে পড়ার আশংকা রয়েছে, সরকার চাষির উপর নজর দিলে হয়তো সাহস করে ফসল ফলানোর দিকে ঘুরে দাড়াতে পারবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here