যশোর শহরের ডিসি এসপি এলাকার এক পুলিশ কর্তার ভাড়া বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরি সংঘঠিত

0
169

 

বিশেষ প্রতিনিধি

শহরের পুরাতন কসবা ডিবি এসপি এলাকার একটি চারতলা ভবনের দ্বিতীয়তলার পুুলিশের সহকারী দারোগার বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরি সংঘঠিত হয়েছে। চোরেরা গেটের দরজা ও ঘরের দু’টি তালা কেটে ভিতরে ঢুকে নগদ ১২  হাজার টাকা ও বিভিন্ন স্বর্ণালংকর,ল্যাপটপসহ সাড়ে ছয় লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি করে সটকে পড়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী মোছাঃ সালমা নাছরিন হ্যাপি বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলা হওয়ার ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও চুরি যাওয়া মালামাল ও চুরি সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

বাগেরহাট জেলার চিতলমারি উপজেলার কলিগাতী গ্রামের বর্তমানে যশোর শহরের পুরাতন কসবা ডিসি এসপি এলাকা শহীদ মশিউর রহমান সড়ক সৈয়দ মাহবুব আলমের ৪র্থ  তলা বাড়ির দ্বিতীয়তলায় তানজীর হোসেন তার স্ত্রী ছেলে ও শ্যালক বসবাস করতো। গত ৫ মার্চ হ্যাপি তার ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় পরীক্ষা দিতে যায়। ৬মার্চ তার ভাই ঘরে তালা মেরে তার বাড়িতে যায়। ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে সংঘবদ্ধ চোরেরা উক্ত ঘরের গেটের   তালা কেটে দ্বিতীয়তলার তানজীর হোসেনের ভাড়াটিয়া ঘরের দরজায় লাগানো দু’টি তালা কেটে ভিতরে প্রবেশ করে। এএসআই তারজীন হোসেন যশোরে অভয়নগর উপজেলার বাসুয়াড়ী পুলিশ ক্যাম্পের কর্মরত ছিলেন। ৬ মার্চ সন্ধ্যা ৬ টা হতে ৭ মার্চ ভোর রাত সাড়ে ৪ টার মধ্যে যে কোন সময় সংঘবদ্ধ চোরেরা উক্ত এএসআইয়ের ভাড়া বাসায় ঢুকে নগদ ১২ হাজার টাকা বিভিন্ন ডিজাইনের স্বর্ণালংকর,ল্যাপটপসহ ৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে চলে যাওয়ার সময় উক্ত বাড়ির বাইরের গেটের দরজার লক দিয়ে যায়। বাড়ির মালিক সৈয়দ মাহাবুব আলম চুরির পর বাড়িতে শব্দ শুনে প্রধান গেটের কাছে এসে দেখেন গেটের বাইরে থেকে লক দেওয়া পরে তিনি ভবনে খোঁজ নিয়ে দেখেন এএসআই তারজীর হোসেনের ভাড়া  ঘরের মধ্যে চুরি হয়েছে। তিনি মোবাইল ফোনে তানজীর হোসেনকে চুরির বিষয়টি জানালে পরে তানজীর হোসেন ভাড়াটিয়া ঘরে এসে দেখেন। পরে তিনি তার স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে সংবাদ দেয়। চুরির ঘটনায় বৃহস্পতিবার ১১ মার্চ কোতয়ালি মডেল থানায় হ্যাপি মামলা করেন।#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here