রাজগঞ্জ প্রতিনিধি॥ রাজগঞ্জে বসত বাড়ির সীমানা নির্ধারণ কেন্দ্র করে এক পক্ষের গোয়ালঘর রান্নাঘর ভেঙ্গে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, মণিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি মৌজার ৬৪০ নম্বর খতিয়ানের, হাল ৭৬৬ নম্বর দাগে ৪৩ শতক জমি রয়েছে। যার ম্যাপ এরিয়ায় আরো ৩ শতক জমি বেশি রয়েছে। কিন্তু ঐ সমুদ্ব জমির মধ্েয ২০ শতকের মালিক রফিকুল গংরা, ৭ শতকের মালিক সেকেন্দার গংরা, ১২ শতকের মালিক হোসেন আলী, ৪ শতকের মালিক আবুল কাসেম। গ্রামের পিঁচের রাস্তা সংলগ্ন ঐ ৪৬ শতক জমি ভাগবাটোয়ারা করে স্ব স্ব স্থানে বসতঘর তৈরী করে তারা দীর্ঘকাল বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি তাদের বাড়ীর সীমানা নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয় ভাবে কয়েকবার শালিস বৈঠক বসেছে। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। এদিকে রফিকুল গংদের ৬টি পরিবারের বসতঘর, গোয়ালঘর, রান্নাঘরসহ অনেক কিছুই ভাংগা পড়ছে। তাই তারা শালিসী বৈঠকে দাবী করে ঘরদোর না ভেঙ্গে পাওনাদারদের অন্য জায়গার জমি দিবে। কিন্তু শালিসী বর্গের কিছু মাতব্বরের কারনে সেটা হয়নি বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের আলফাজ মোড়ল জানিয়েছে। তিনিসহ অনেকেই জানান, প্রতিপক্ষ সেকেন্দার গংদের দিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় সেই মাতব্বর লুৎফর, ওয়াদুদ, গনি ও নিজাম অন্য পক্ষ রফিকুল গংদের মধ্েয আয়ুব আলীর গোয়ালঘর, রান্নাঘর ভাংচুর করে ও টিউবওয়েল এর মাথা খুলে নিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল হামিদ সরদার এর নির্দেশে স্থানীয় ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান ঘটনাস্থলে এসে ভাংচুরে বাধা দেয়। কিন্তু তার কথা তারা শুনেননি বলে ইউপি সদস্য জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান ঘটনাস্থলে লুৎফার, ওয়াদুদ, নিজাম ও গনি দাঁড়িয়ে ছিল। এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।