বাগআঁচড়া ইউনিয়নবাসীর হৃদয়ের মানুষ বাবু চেয়ারম্যানের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

0
263

 

এবিএস রনি, বাগআঁচড়া॥ যশোর জেলার শার্শা উপজেলার ৮নং বাগআঁচড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুর দ্বাদশ মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১০মার্চ। ২০০৯ সালের ০৯ই মার্চ দিবাগত রাতে নিজ বাসভবনের উপরে নির্মমভাবে নিহত হন তিনি। রফিকুল ইসলাম বাবু দক্ষিণ শার্শার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কাছে ছিলেন একজন বটবৃক্ষ, যুবক বয়সে থেকেই তিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করার ব্রত নিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তার রাজনীতিতে একমাত্র উদ্দেশ্যই ছিল জনগণের কল্যাণে কাজ করা, তিনি শুধু বাগআঁচড়া নন কায়বা, গোগা, শংকরপুর ও কেরালকাতা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কাছে ছিলেন জনপ্রিয় নেতা, স্বৈরাচার এরশাদের সময় অত্র পাঁচ ইউনিয়নের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে জনগণকে সম্পৃক্ত করে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন, আওয়ামী লীগের দুঃসময় ৮৫, যশোর-১ (শার্শা) আসনের সাবেক মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য মরহুম আলহাজ্ব তবিবর রহমান সরদার এর স্নেহধন্য হয়ে ১৯৯১ সালে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন, মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি উক্ত পদে আসীন ছিলেন, ১৯৯৬ সালের ইউ পি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে চেয়্যারম্যান নির্বাচিত হন, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে দল-মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনতার আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হন, দিন নেই রাত নেই সাধারণ মানুষ বিপদে আপদে সুখে দুঃখে যখন যেভাবে তাকে পাশে চেয়েছে তখন সেভাবেই তাকে পাশে পেয়েছে, তিনি বাগআঁচড়া ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন, তার একক প্রচেষ্টায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির বেত্রাবতী সড়কে নির্মিত হয় ১/১১ সামরিক সরকারের সময় তিনি দলকে সংগঠিত করতে ব্যাপক পরিশ্রম করে আওয়ামী লীগকে অত্যন্ত শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করতে সক্ষম হন, ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করলে রফিকুল ইসলাম বাবু এলাকার শান্তি প্রতিষ্ঠায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন এবং বাগআঁচড়া অঞ্চলে রাজনৈতিক হানাহানি বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সময়োপযোগী ভূমিকা পালন করেন, যার ফলশ্রুতিতে তিনি অত্র এলাকার দল-মত-নির্বিশেষে সকলের কাছে ভালোবাসার হৃদয়ের মানুষে পরিণত হন, ২০০৯ সালের ০৯ ই মার্চ দিবাগত রাতে নিজ বাসভবনের উপরে নির্মমভাবে নিহত হন। তার প্রতি সাধারণ মানুষের ভালোবাসা প্রমাণ হয় তার নামাজে জানাজায়, আজ পর্যন্ত এত সংখ্যক মানুষের সমাগম কখনো হয়নি, আসলে বাবু চেয়ারম্যানের অবস্থান ছিল সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায়। প্রিয় নেতা রফিকুল ইসলাম বাবুর একাদশতম মৃত্যুবার্ষিকীতে অত্র এলাকার মানুষ গভীর শ্রদ্ধার সাথে তাকে স্মরণ করছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here