কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি\\
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খালিশপুরে গ্রামীন ডাইগোনষ্টিক সেণ্টারের মালিক জুলফিকারের বিরুদ্ধে তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক নার্সকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারিরিক মিলন ঘটিয়েছে। এর পর ৫ মাসের অন্তসত্তাঅবস্থায় চেতনা নাষক ওষুদ খাইয়ে এ্যবর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভিক্টিম নার্স কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধিন অবস্থায় আছেন। এব্যাপারে মহেশপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। কোটচাঁদপুর হাসপাতাল ও থানা সূত্রে জানা গেছে যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার সিংঝুলি গ্রামের আবুবকরের মেয়ে ৬ মাস আগে খালিশপুর গ্রামিন ডাইগোনোষ্টিক সেন্টারে নার্স হিসাবে কাজ শুরু করে। কিছু দিনের মধ্যেই ডাইগোনোষ্টিক সেন্টারের মালিক কোটচাঁদপুর বলুহর গ্রামের মৃত মোতালেব হোসেনের ছেলে জুলফিকারের ললুপ দৃষ্টি পড়ে নিজ প্রতিষ্ঠানে নার্সের দিকে। তাকে বিয়ের প্রলভন দেখিয়ে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্কে মিলিত হলে সে ৫ মাসের অন্তসত্তা হয়ে পড়ে। এসময় জুলফিকারকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে সে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। এঅবস্থায় জুলফিকার কৌশলে ঐ নার্সকে চেতনা নাষক ওষুদ খাইয়ে গত ৬-৩-২১ তারিখে কালীগঞ্জ নিয়ে কোটচাঁদপুর মাহবুবা কিনিকের নার্স তাসলিমার বাসায় রেখে এ্যাবর্ষন করায়। কিছুক্ষণ পর তার ঞ্জান ফিরলে তাকে বলা হয় আপনি অসুস্থ আপনাকে এখানে ৭ তারিখ পর্যন্ত থাকতে হবে , তার পর যেতে পারবেন। এসময় জুলফিকার সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরের দিন ৮-৩-২১ তারিখে সকালে ভিকটিম নার্স বাসে করে কোটচাঁদপুর ষ্টা-ে নামলে বিষটি এলাকার লোকজন জানতে পেরে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশকে খবর দেয়। থানা পুলিশ এস আয় শামিম তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে মহেশপুর থানাকে বিষয়টি জানায় । এব্যাপারে ভিকটিম বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় ধর্ষন, হুমকি ও গর্ভপাতের মামলা দায়ের করেন। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কিনিক মালিক জুলফিকারকে থানা পুলিশ আটক করতে পারেনি ।