এম এম নুর আলম, আশাশুনি থেকে : আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্য বিধি মানার প্রতি অনিহাসহ মুখে মাস্ক পরিধান না করেই চলছে জনসাধারণ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অর্ধেকেরও বেশী লোকের মুখে মাস্ক পরিধান নেই, তাদের মধ্যে নেই সামাজিক দূরত্বও।
অপরদিকে, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দোকানদারদের মুখেও মাস্ক তেমন একটা দেখা যায়নি। যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনা থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক পরিধান করতে হবে। এরপরও লোকজন সঠিকভাবে কেউ মাস্ক পরিধান করছেন না। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে জরিমানার ব্যবস্থা করা হলেও তা সামান্য।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর সরকার কয়েক দফায় সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত বর্ধিত করে এবং সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করে। যা গত মে মাসে শেষ হয়েছে। এদিকে অর্থনীতিকে সচল করার লক্ষে সরকার জুন মাস থেকে কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করে লকডাউন তুলে নেয়। এরপর থেকে লোকজন ঘর হতে বের হওয়া শুরু করে। মানুষ ভাবছে লকডাউন নেই, কে কি বলবে। যে যার মতো করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সরকার করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় সবকিছু খুলে দিলেও একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি পালনের অন্যতম অনুসঙ্গ মাস্ক। কেউ যদি এটা না পরে বাইরে বের হয় তাহলে সেটা হবে আইনের লঙ্ঘন। মাস্ক ব্যবহার না করা ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা জরিমানা অথবা ৬ মাসের জেল দেয়া হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উভয় দ-ে দ-িত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
এছাড়া স্বাস্থ্যবিধির অন্য যে কোনো একটি না মানলে দেয়া হবে ৩ মাসের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। আদেশে বলা হয়, ‘বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে সবসময় মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, অন্যথায় নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রন ও নির্মূল আইন অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। কিন্তু এই আইনকে তোয়াক্কা না করে মুখে মাস্ক পরিধান না করেই হাট-বাজাওে লোকজন প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে ভিড় করছেন। এদিকে মাস্ক নেই কেন জানতে চাইলে কেহ বলেন ভুল করে বাড়িতে ফেলে রেখে এসেছি, কেহ বলেন পকেটে আছে। ইতিমধ্যে আশাশুনি উপজেলাতে ৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সে কারনে অনেকের মনে কিছুটা ভয় কাজ করছে। উপজেলার হাটগুলোতে সপ্তাহে দু’দিন হাট হয় এবং প্রতিদিন সকাল ও বিকাল বাজার বসে।
এছাড়া উপজেলার বিভিন্নস্থানে স্থানীয়ভাবে অনেক বাজার বসে। সে সকল বাজারে স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নেই। সচেতন মহল বলেন, জনসাধারণ যদি মাস্ক পরিধান না করে তাহলে আমরা কিভাবে এই মহামারি থেকে রক্ষা পাবো। আইন করে মানুষকে মাস্ক পরিধান করানো সম্ভব না। এসময় আরও বলেন আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, তাহলে এই মহামারি করোনাকে আমরা রুখতে পারবো।