বেনাপোল প্রতিনিধি : বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাদিউজ্জামানের খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সারা বিশ^ জুড়ে করোনা ভাইরাসের কারনে মানুষ ঘরবন্দী হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এরই মাঝে সরকারী ত্রান আসার আগেই তিনি তার ইউনিয়নে প্রায় ২ হাজার লোকের মাঝে চাল, ডাল, আলু, পিয়াজ তেল সহ অন্যান্য পন্য দেওযা অব্যাহত রেখেছে। নিজ অর্থায়নে এসব ত্রান বিতরন করছে বলে এলকাবাসি জানান।
পুটখালী ইউনিয়নের বালুন্ড গ্রামে সম্প্রতি ত্রান এর ছবি তোলা নিয়ে মিথ্যা গুজব রটিয়ে চেয়ারম্যান হাদিউজ্জামান এর অনুসারিদের হেও প্রতিপন্ন করার অভিযোগ নাকোচ করেছে ওই গ্রামের একাধিক বাসিন্দা। তারা জানায় সরকারী ত্রান এসেছে মাত্র ১৪৩ প্যাকেট। অথচ চেয়ারম্যান হাদিউজ্জামান তার নিজ তহবিল থেকে ওই গ্রামে দিয়েছেন ৩১৭ প্যাকেট। এবং যশোর-১ এর এমপি শেখ আফিল উদ্দিনের দেওয়া আরো ৯০ প্যাকেট ত্রান দিয়েছে। ছবি তুলে ত্রান দেওয়া হয়নি এমন অভিযোগে জানা গেছে ফাহিমা নামে যে নারীর ছবি তোলা হয়েছে তার সরকারী ত্রান চাহিদায় নাম নেই। সে চেয়ারম্যান এর ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে ত্রান পেয়েছে। তিনি আরো ত্রান দাবি করায় তাকে আবারও দেওয়া হবে বলে আশ^াস দিলে ওই নারী গুজব ছড়িয়ে দেয় আমার ছবি নিয়ে ত্রান দেওয়া হয়নি।
স্থানীয় আওয়ামলীলীগ নেতা সবুর বলেন, পুটখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সরকারী ত্রান দেওয়ার আগে থেকে ত্রান বিতরন অব্যাহত রেখেছে। তিনি তার ইউনিয়নের অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি যারা চাইতে পারছে না তাদের ও ত্রান সামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌছে দিচ্ছে।
আওয়ামী লীগে নেতা রহমত আলী বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব নিজ অর্থঅয়নে ত্রান সামগ্রী বিতরন অব্যাহত রেখেছে। তিনি বেনাপোল প্রথম হটলাইন চালু করেছে। যে ব্যাক্তি ফোন দিচ্ছে সাথে সাথে সেখানে পৌছে দিচ্ছে তার খাবার দ্রব্য। তিনি মার্চ এর ২৮ তারিখ থেকে ত্রান বিরতন করছেন।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান হাদিউজ্জামান বলেন, কাজ করতে গেলে সমালোচনা থাকবে। আমি আমার সাধ্যমত কাজ করে যাচ্ছি। আমার ইউনিয়নের নেতা কর্মী ও আমার এমপি শেখ আফিল উদ্দিন ও আমাকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তাই এখানে আমার ব্যাক্তি গত কোন চাওয়া পাওয়া নেই। আমি এই ইউনিয়নের একজন সেবক হিসাবে আমার সাধ্যমত ত্রান সামগ্রি অভ্যাহত রেখেছি। কিছু দুষ্ট চক্র আছে তারা বদনাম করবে। সেটা মাথাই রেখে কাজ করে যেতে হবে। এখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল ও পরিদর্শন করেছেন। মহামারি করোনা ভাইরাস থাকা কালীন সময় পর্যন্ত আমি আমার ইউনিয়ন বাসির পাশে আছি। একটি মানুষও যাতে না খেয়ে থাকে সে দিকে আমার খেয়াল আছে। আমার ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবি মাঠে কাজ করে যাচ্ছে।
বালুন্ড গ্রামের জবেদা বেগম বলেন ফাহিমা একবার চাউল সহ অন্যান্য পন্য পেয়েছে। সে আবারও ত্রান দাবি করায় তাকে অপেক্ষা করতে বললে সে চেয়ারম্যানের লোকদের নামে অপবাদ ছড়ায় যে তাকে ত্রান দিয়ে ছবি তুলে ত্রান দেওয়া হয়নি।
স্থানীয়রা বলেন, একটি কুচক্রী মহলে ভালো কাজে ঈষাম্বিত হয়ে চেয়ারম্য্যন হাদিউজ্জামানকে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য গুজব ছড়িয়ে ভুল করেছে।