এম এম নুর আলম, আশাশুনি : করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গৃহীত ব্যবস্থা লংঘন করে আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে হচ্ছে শত শত মানুষের সমাগমে বাজার ও মৎস্য সেট। ফলে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার মানুষ একেবারেই কাছাকাছি, পাশাপাশি ও মুখোমুখি অবস্থানের মাধ্যমে নিজেরাসহ এলাকার মানুষকে নিরাপত্তাহীনতায় ফেলানোর কাজটি করে যাচ্ছে। উপজেলার বুধহাটা, কাদাকাটি, মাড়িয়ালা, মহিষকুড়, তুয়ারডাঙ্গা সহ অধিকাংশ বাজার ও মৎস্য সেটে প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ৮/৯ টা পর্যন্ত বাজার বসে থাকে। এছাড়াও উপজেলার অধিকাংশ বাজারগুলোতে বিকেলে প্রচুর জনসমাগম হয়। এসব বাজারে দূরদূরান্ত থেকে মাছ ক্রেতা-বিক্রেতা, কাচা মালামালসহ নিত্য পণ্যের ক্রেতা-বিক্রেতারা জনসমাগম ঘটায়। শত শত মানুষ একসাথে একেবারেই নিকটে থেকে গা ঘেষাঘেষি অবস্থায় কেনা-বেঁচা করে থাকেন। অধিকাংশ মানুষের মুখে মাক্সও থাকেনা। সরকার করোনা ভাইরাসের হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করতে সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা, মুখে মাক্স ব্যবহার, হাত-মুখ সাবান দিয়ে ধুয়ে খাদ্য খাওয়াসহ যে সমস্ত নির্দেশনা প্রদান করেছেন, তার অধিকাংশই অধিকাংশ মানুষ এসব বাজারগুলোতে পালন করেননা। প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে এলাকায় মাইকিং ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করলেও বাজারে আগতরা কোন কিছুকে তুয়াক্কা করছেনা। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যখন যে বাজার মনিটরিং করা হয় তখন সে বাজারের লোক আশেপাশে লুকিয়ে থাকে। প্রশাসন চলে গেলেই আবার পূর্বের ন্যায় জনসাগম তৈরী করে। অত সকালে রিমোর্ট এলাকার উক্ত বাজারগুলোতে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যবৃন্দও যেতে পারেননা। ফলে অনায়াসে এবং নির্বিঘেœ তারা অকাজটি করে চলেছেন। উপজেলাবাসী করোনা ভাইরাসের হাত থেকে উপজেলাকে রক্ষা করতে উপজেলা প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।